হাসপাতালে ভর্তি দক্ষিণী সুপারস্টার মহেশ বাবুর বাবা তেলেগু সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা, নির্মাতা ও প্রযোজক কৃষ্ণা ঘট্টমানেনির (৮০) অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁকে কৃত্রিম শ্বাস–প্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটে অচেতন অবস্থায় হায়দরাবাদের কন্টিনেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরে চিকিৎসকেরা জানান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হৃদ্যন্ত্র কাজ না করায় হাসপাতালে নেওয়ার পর কৃষ্ণার ২০ মিনিট সিপিআর করানো হয়। এরপর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এ সময় মহেশ বাবু বাবার পাশেই ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুরে স্থানীয় গণমাধ্যমকে চিকিৎসকেরা জানান, বয়স বেশি হওয়ায় অভিনেতা কৃষ্ণার শারীরিক অবস্থা বেশ জটিল। তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চটা দিয়ে তাঁর চিকিৎসা করছেন তাঁরা। আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাঁরা গুরুত্বের সঙ্গে তাঁকে পর্যবেক্ষণ করছেন।
মহেশ বাবুর পরিবার কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি মহেশ বাবু তাঁর মা ইন্দিরা দেবীকে হারিয়েছেন। এর আগে ভাই রমেশ বাবুও মারা গেছেন।
কৃষ্ণ ঘট্টমানেনি চলচ্চিত্রে অনেক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি অভিনেতা হিসেবে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন আদুর্তি সুব্বা রাও পরিচালিত ‘তেনে মনসুলু’ সিনেমার মাধ্যমে। তেলেগুতে তাঁর বিখ্যাত সিনেমা ‘আলুরি সীতা রামা রাজু’ এবং ‘সিংহাসনম’ ইত্যাদি।
ভারতের জাতীয় কংগ্রেস থেকে এমএলএ নির্বাচিত হয়েছিলেন কৃষ্ণা। তিনি তেলেগু সিনেমায় ‘ইস্টম্যান কালার ফিল্ম’, ‘সিনেমাস্কোপ ফিল্ম’, ‘৭০ মিমি ফিল্ম’, ‘ডিটিএস ফিল্ম’ ইত্যাদির মতো নতুন প্রযুক্তির প্রথম ব্যবহার করেন। ২০০৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মাননা দেয়।