চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ ওমর সানী ও জায়েদ খানের লড়াই এখন স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বে রূপ নিয়েছে। মৌসুমীর বক্তব্যে স্পষ্টতই তাঁদের দাম্পত্য কলহের বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে আপাতত মৌসুমীকে নিয়ে অসম্মানের কোনো কথা বলতে চান না সানী। তিনি বলেছেন, ‘আমি কি বলেছি না বলেছি সম্পূর্ণ আমার ছেলে ফারদিন, আমার মেয়ে ফাইজা জানে। আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ প্রমাণ আছে জায়েদ খান যে মৌসুমীকে ডিস্টার্ব করেছে। ফারদিন বলুক আর ফাইজা বলুক তাদের মায়ের সম্পর্কে। আমার ছেলেমেয়েরা কথা বলুক এ বিষয়গুলো নিয়ে। তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে। আমি কিছু বলতে চাই না।’
ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীনও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আম্মু কতটা উচ্চতা মেইনটেন করে সমাজে বসবাস করেন। হঠাৎ করে আমাকে নিয়েও যদি কেউ একটা কথা বলে সেটা কিন্তু সবাই বিশ্বাস করবেন না। গণমাধ্যমের অনেকেই আছেন আমাকে কোলে নিয়েছেন। যতটা বড় করে এই ঘটনা দেখা হচ্ছে, ততটা বড় এটা না। বাবা-মায়ের মধ্যে কিছু হয়ে থাকলে সেটা তাদের মধ্যেই সমাধান হবে। বাবাকে কেন্দ্র করে মা যদি কিছু বলে থাকে, তাহলে সেটা রাগ থেকেই হয়তো বলেছে। আমাদের ঘরের বিষয় এখনো এত বাজে আকারে পরিণত হয়নি বা হবেও না আশা করি।’
ফারদিন জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি তাঁর মা মৌসুমীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ফারদিন বলেন, ‘মা বলল, ঘরের মধ্যে অনেক কিছু নিয়েই মনোমালিন্য থাকে। ছোট বিষয়, বড় বিষয় নিয়ে ইস্যু তৈরি হয়। আম্মু আমাকে আরও বলেছে, এটা যেন আরও বড় করে না হয় সে জন্যই এটা করেছি। যা সমস্যা হবে ঘরে, যা সমাধান হবে তা-ও ঘরে।’
তবে জায়েদ খান কখনোই এই পরিবারের ভালো চায়নি উল্লেখ করে ফারদিন বলেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সময় থেকে শুরু হয়েছে। আমাকে হেনস্তা করেছে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, আব্বু-আম্মুকে পাচ্ছে না, আমাকে ধরছে। আমার রেস্ট্রুরেন্টকে আঘাত করে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। যখন আমাকে দিয়ে ফুলফিল হয় নাই, তখন আম্মুকে দিয়ে চেষ্টা করতে চাইছে, আব্বুকে দিয়ে চেষ্টা করতে চাইছে। খারাপ মানুষ যেকোনোভাবে খারাপ কাজটায় সাফল্য পেতে চাইবে। জায়েদ খানকে নিয়ে কোনো কিছু অসম্ভব না।’