বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও ব্যবসায়িক সফল সিনেমা ‘ম্যায় হু না’। সিনেমাটিতে অভিনয় করতে গিয়ে একটি বিশেষ ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। এতদিন পর সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন মোহময়ী শিক্ষক চাঁদনি চরিত্রে অভিনয় করা সুস্মিতা। সিনেমার সেটে পরিচালক ফারাহ খান তাঁর থেকে ক্ষমা চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
হিউম্যানস অব বম্বেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘ফারাহ খান আমাকে ডাকেন এবং বলেন সুস্মিতা আমি ফাইনাল এডিটটা দেখলাম। আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি। শাহরুখ ছাড়াও অমৃতা, জায়েদের চরিত্রটা বড় হলেও তোমাকে সেই অর্থে দেখাই যায়নি। আমি তখন ওকে বলি ঠিক আছে ফারাহ। আমাদের একটা চুক্তি হয়েছিল সেই অনুযায়ী তুমি তোমার কথা রেখেছ, আমি আমার কথা রেখেছি। ব্যাস, এখন কাজটা হয়ে গেছে আর এটা নিয়ে ভেবো না।’
সুস্মিতা আরও বলেন, ‘কিন্তু মুখে যতই এসব বলুন না কেন ভেতর ভেতর ভেবেছিলাম, সেকি! সিনেমাতে আমি সেই অর্থে নেই। ফিল্ম সিটিতে সিনেমাটির প্রদর্শন হয়েছিল, এরপর থেকেই আমার ফোন বাজা শুরু হলো। যশ চোপড়া জিসহ পুরো ইন্ডাস্ট্রি আমাকে ফোন কলা শুরু করেছিল। আমি তখন ভয় ভয়ে ফোন ধরি। আর সবাই তারপর একই কথা বলতে থাকে, আমার অভিনয় নাকি দুর্দান্ত হয়েছে। কেউ কেউ আবার বলেন সিনেমার দ্বিতীয় ভাগে প্রতিটা স্ক্রিনে তোমায় দেখতে পেলে ভালো লাগত।’
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া শাহরুখ খান অভিনীত ‘ম্যায় হু না’ সিনেমায় শাহরুখ খানের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল সুস্মিতা সেনকে। সিনেমাটিতে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল চাঁদনি চোপড়া। চরিত্রটা ছোট হলেও বেশ সুন্দর এবং ক্ষমতাশালী একটি চরিত্র ছিল। এমনটাই মনে করেন সুস্মিতা।
প্রসঙ্গত, সুস্মিতা সেনকে শেষবার দেখা গেছে তালি সিনেমায়। যেখানে তিনি রূপান্তরকামী চরিত্রে ধরা দিয়েছিলেন, রূপান্তরকামী অ্যাকটিভিস্ট শ্রীগৌরী সাওয়ান্তের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।