মিইউ, সুহে ও গাইন—এ তিন জনকে নিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল ‘লাইমলাইট’-এর যাত্রা। এ নামেই প্রায় দেড় বছর চলেছে নারীদের এই কে-পপ ব্যান্ডের কার্যক্রম। গত জুলাইয়ে ব্যান্ডটির বিস্তৃতি বাড়ানোর পরিকল্পনা করে ১৪৩ এন্টারটেইনমেন্ট। বদলে যায় নাম। দলে আসেন আরও চার নতুন সদস্য।
কে-পপ গায়িকা গাইন। ছবি: সংগৃহীত
মিইউ, সুহে ও গাইনের সঙ্গে যোগ দেন সেরিনা, নাগুমি, ইয়োসে ও মাসিরু। তাঁদের নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে ‘মেইদেন’ নামে শুরু হয় গার্লস গ্রুপটির নতুন যাত্রা। এরপর দু্ই মাসও পেরোলো না। ভাঙনের কবলে পড়ল মেইদেন। ব্যান্ড ছাড়লেন প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য গাইন। সাতের বদলে মেইদেনে সদস্য সংখ্যা এখন ছয়।
কে-পপ গায়িকা গাইন। ছবি: সংগৃহীত
১৪৩ এন্টারটেইনমেন্টের সিইওর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে গাইন দল ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে গাইনের দল ত্যাগের খবর জানিয়েছে ১৪৩ এন্টারটেইনমেন্ট। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, গাইন আজ থেকে আর আমাদের সঙ্গে নেই। সেপ্টেম্বরে মেইদেনের কার্যক্রম শুরুর পর ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন গাইন। ব্যক্তিগত কারণে দল ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।’
মেইদেন ব্যান্ডের পুরোনো ছবিতে অন্য সদস্যদের সঙ্গে গাইন। ছবি: সংগৃহীত
যৌন হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার
কয়েক সপ্তাহ আগে ১৪৩ এন্টারটেইনমেন্ট জানিয়েছিল, শারীরিক অসুস্থতার কারণে গাইন আপাতত ব্যান্ডের কার্যক্রম থেকে বিরত আছেন। ওই সময় নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে মেইদেন সংক্রান্ত সব পোস্ট মুছে দেন এই গায়িকা। গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, ১৪৩ এন্টারটেইনমেন্টের সিইওর দ্বারা যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন গাইন। এ কারণে ব্যান্ড থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
ওই সময় একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়। যা থেকে জানা গিয়েছিল, প্রতিষ্ঠানটির সিইও কুপ্রস্তাব দিয়েছেন গাইনকে। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে জোরাজুরিও করেন সিইও। তবে গাইনকে যৌন হেনস্থার অভিযোগটি অস্বীকার করা হয়েছে ১৪৩ এন্টারটেইনমেন্টের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি যৌন হেনস্থার যে গুজব রটেছে, তা সত্য নয়। এ অভিযোগ যে মিথ্যা, তার সপক্ষে আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে।’