আসানসোলে ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পলের কাছে ভোটে হেরে গিয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। কিন্তু একচুলও কমেনি জনপ্রিয়তা। আসানসোলের মানুষ বহুবার বলেছেন, তাঁরা তাঁদের এলাকায় দেখতে চান তাঁদের প্রিয় দিদিকে। কথা রেখেছিলেন সায়নীও। আসানসোলের কালিপাহাড়ি অঞ্চলের কোড়াপাড়া, কাঁকরডাঙা এলাকায় ঘুরে ঘুরে ত্রাণ বিলি করেছেন। মাস্ক, স্যানিটাইজার, খাবার এবং গরম ও বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য ছাতা তুলে দিয়েছেন স্থানীয়দের হাতে। এছাড়া দলীয় নানা কাজে যোগদান তো ছিলই।
তৃণমূল-সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও তিনি যে মনের বড় কাছে, তা প্রমাণ হল রাজ্য যুব তৃণমূল সভানেত্রী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর। এত বড় সাংগঠনিক পদের দায়িত্ব পাওয়ার পর যতটা খুশি, ঠিক ততটাই আত্মবিশ্বাসের সুর ধরা পড়ল অভিনেত্রীর কণ্ঠে। যদিও তাঁর মতে তিনি এর কিছুই জানতেন না। যেমন জানতেন না আসানসোল থেকে তাঁকে ভোটের টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। জানালেন, বর্তমানে তাঁর পাখির চোখ এখন তিন বছর বাদের লোকসভা নির্বাচন। যেখানে যুব সমাজ একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে সরকার নির্বাচনে। আর যুব তৃণমূলের সভানেত্রী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব থাকবে রাজ্যের সমস্ত যুবসমাজকে দলের দিকে টেনে আনা। দলের বার্তা সকল ‘যুব’-র কাছে পৌঁছে দেওয়া।
অভিনয় না রাজনীতি কোনটা এখন প্রাধান্য পাবে তাঁর কাছে? আদৌ কি পারবেন দুটো একসঙ্গে সামলাতে? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে সায়নী পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন এই মুহূর্তে দুটোর মধ্যে ব্যালেন্স করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। আর তাই, ‘খুব প্রয়োজন না পড়লে, খুব ভালো স্ক্রিপ্ট না পেলে’ অভিনয় করবেন না তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছে সেটা সামলানোই তাঁর প্রধান কাজ হতে চলেছে!