বিয়ের প্রায় বছরখানিক পর সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী স্বাগতা জানান, হাসান আজাদের সঙ্গে এক বছর লিভ টুগেদারের পর বিয়ে করেছেন তাঁরা। এমন বক্তব্যের পর অনেকেই স্বাগতার সমালোচনা করেছেন। এবার স্বাগতাকে পাঠানো হয়েছে আইনি নোটিশ। সাত দিনের মধ্যে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। তবে স্বাগতা জানালেন, এখনো কোনো নোটিশ হাতে পাননি তিনি। পেলে আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবেলা করবেন।
প্রথম বিচ্ছেদের তিন বছর পর গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় বিয়ে করেন স্বাগতা। তবে এবার জীবনসঙ্গীর বিষয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি। তাই বিয়ের আগে নিয়েছিলেন লিভ টুগেদারের সিদ্ধান্ত। তাতে পরিবারেরও মত ছিল বলে জানান তিনি। কয়েকদিন আগে স্বাগতা বলেন, ‘সমাজও পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও এক সময় স্বাভাবিক হয়ে যাবে’।
স্বামীর সঙ্গে স্বাগতা। ছবি: সংগৃহীত
স্বাগতার এমন বক্তব্যের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গতকাল আরিফুল খবির নামক একজন ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরী নোটিশটি পাঠান। তাতে উল্লেখ করা হয়, ইসলাম ধর্মে বিয়ের পূর্বে নারী ও পুরুষের মধ্যে সহবাস বা লিভ টুগেদার করা সম্পূর্ণ রূপে হারাম। স্বাগতার বক্তব্য লিভ টুগেদার করার জন্য উৎসাহ প্রদান করে। এমন বিবৃতির কারণে মুসলমান ধর্মাবলম্বীগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বাগতা বলেন, ‘আমি যাকে বিয়ে করব, তাকে আগে বুঝে নিয়েছি। তাতে সমস্যা কোথায়? দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজেদের সম্মতিতে লিভ টুগেদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমার ভুলটা কোথায়? আমার প্রথম বিয়েটা তো ওয়ার্ক করে নাই। বিয়ে নিয়ে আমার মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করছিল, যদি আগেরবারের মতো আমাকে অত্যাচার সহ্য করতে হয়! আবার যদি একই রকম ঘটনা ঘটে? এ কারণে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজেদের ভালোভাবে বুঝে নিয়েছি।’
স্বাগতা। ছবি: সংগৃহীত
স্বাগতা আরও বলেন, ‘আগে আমাদের সমাজে স্বামীরা সংসারের দায়িত্ব নিত। এখন কিন্তু স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে দায়িত্ব গ্রহণ করছে। আগে সংসারে অশান্তি হতো, কিন্তু ডিভোর্স হতো না। যতই অত্যাচার করা হোক না কেন, নারীরা মুখ বুজে সেটা সহ্য করে যেত। এখন কিন্তু ডিভোর্স হচ্ছে। সমাজ কিন্তু মেনেও নিচ্ছে। আগের সময় তো প্রেম কেউ মেনে নিত না। এখন কিন্তু বেশিরভাগ বিয়ে হচ্ছে প্রেমের। পরিবারও মেনে নিচ্ছে। সেই ভাবনা থেকেই বলেছি লিভ টুগেদারও একসময় স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’