শাবনূরের ৪৩ 
বিনোদন

শাবনূরের ৪৩ 

কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর থেকে প্রয়াত নির্মাতা এহতেশামের মাধ্যমে তিনি হয়ে যান শাবনূর। ঢাকাই চলচ্চিত্রের নব্বইয়ের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। আজ তাঁর ৪৩তম জন্মদিন। ১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে বাংলা চলচ্চিত্রকে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন। শাবনূর বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাঁর অভিনয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন ভক্ত ও দর্শকদের ভালোবাসা।

প্রয়াত স্বনামধন্য পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনি রাত’-এর মাধ্যমে ১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় শাবনূরের। নায়ক সাব্বিরের বিপরীতে অভিনীত চলচ্চিত্রটি যদিও ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়েছিল।

এর পরের বছর পরিচালক জহিরুল হকের ‘তুমি আমার’ চলচ্চিত্রে সালমান শাহর বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন শাবনূর। শুরু হয় এক মুগ্ধতার ইতিহাস। এরপর শাবনূরকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। উপহার দিয়ে গেছেন একের পর এক সুপারহিট চলচ্চিত্র।

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। ছবি: সংগৃহীত শাবনূর জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন ১৪টি চলচ্চিত্রে। এই জুটিকে ঢালিউডের অন্যতম সফল জুটি মনে করা হয়। এই জুটির প্রায় সব চলচ্চিত্রই দর্শকনন্দিত ও ব্যবসাসফল ছিল। শুধু তাই নয়, এই জুটির বেশির ভাগ চলচ্চিত্রই ছিল রোম্যান্টিক। ‘তোমাকে চাই’, ‘তুমি আমার’, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘প্রেম পিয়াসি’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ ইত্যাদি ছবি এখনো দর্শকদের মনে দাগ কাটে। তবে এই জুটির জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে অসংখ্য গানের ভূমিকা। প্রেম-বিরহের সেই সব গান এই জুটিকে অনবদ্য করে তুলেছিল দর্শকের কাছে। ‘এই দিন সেই দিন কোনো দিন, তোমায় ভুলব না’, ‘তুমি আমায় করতে সুখী জীবনে’, ‘ওগো আমার সুন্দর মানুষ’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ইত্যাদি গান সব শ্রেণির দর্শকের কাছে এখনো তুমুল জনপ্রিয় করে রেখেছে সালমান-শাবনূরকে।

তবে সালমান শাহ ছাড়াও ওমর সানী, অমিত হাসান, আমিন খান, বাপ্পারাজদের সঙ্গেও অভিনয় করে সফলতা পান শাবনূর। সালমান শাহর মৃত্যুর পর রিয়াজ, ফেরদৌস, মান্না ও শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেও সফল হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে শুধু রিয়াজের সঙ্গেই প্রায় অর্ধশত চলচ্চিত্রে জুটি বাঁধেন তিনি। সেই সব চলচ্চিত্রের প্রায় সবই আলোচিত ও ব্যবসায়িকভাবে সফল ছিল। এই জুটির ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘মোল্লাবাড়ির বউ’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘বুক ভরা ভালোবাসা’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে’, ‘মন মানে না’ ইত্যাদি সিনেমা বাংলা চলচ্চিত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। ছবি: সংগৃহীত শাবনূর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘ভালোবেসে বউ আনব’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘মহামিলন’, ‘পৃথিবী তোমার আমার’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘আমি তোমারি’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘নারীর মন’, ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘এ মন চায় যে’, ‘ফুল নেব না অশ্রু নেব’, ‘দিল তো পাগল’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘ভালোবাসা কারে কয়’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘নসিমন’, ‘ব্যাচেলর’, ‘ফুলের মতো বউ’, ‘চার সতিনের ঘর’, ‘দুই নয়নের আলো’, ‘নিরন্তর, ‘আমার প্রাণের স্বামী’ ইত্যাদি কালজয়ী চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন এই গুণী অভিনেত্রী।

অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ ছাড়া পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার ও সর্বাধিক ১০ বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার।

Source link

Related posts

৫০ ভাষায় আসছে ‘আরআরআর’

News Desk

ক্যানসার-যুদ্ধে বিজয়ী মায়ের গল্প শোনালেন কার্তিক

News Desk

৩০ ব্যান্ড নিয়ে নতুন যাত্রায় সিএমবিএ

News Desk

Leave a Comment