স্কুল জীবন থাকতেই শিক্ষকতার সঙ্গ্র জড়িয়ে আছেন নন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ছাত্রজীবনে টিউশনি করাতেন। শিক্ষাজীবন শেষ করে শিক্ষকতা করেছেন বেশ কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ অভিনেতা নিজেই আজ ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে এসব কথা জানালেন।
আর সেই স্ট্যাটাসে শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষক জীবনের এক সহকর্মীর মৃত্যুতে৷ যাকে চঞ্চল ‘পাভেল স্যার’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আজ ২২ মে এক স্ট্যাটাসে চঞ্চল সেই শিক্ষকের স্মরণে লেখেন, ‘আমার প্রথম কর্মজীবন শুরু শিক্ষকতা দিয়ে। শিক্ষকতা আমার প্রিয় পেশা। আমার অবসর প্রাপ্ত বাবা থেকে শুরু করে পরিবারের অনেকেই এই মহৎ পেশায় কাজ করেছেন এবং করছেন।
আমিও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম। সোডা, কোডা, ইউডা ছিল আমার মহৎ কর্মস্থল। ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সরাসরি এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলাম।
পরবর্তীতে অভিনয়ে ব্যস্ত হবার কারণে এই প্রতিষ্ঠানে আর সময় দেয়া হয়নি। যতদিন এই প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেছি, নিষ্ঠার সাথেই দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিলাম।আমার যাঁরা সহকর্মী ছিলেন, এখনো অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করি।
আমরা বলতাম সোডা, কোডা, ইউডা পরিবার। এই পরিবারের খুব ঘনিষ্ট মানুষগুলোর মধ্যে গত বছর আমরা হারিয়েছি প্রদীপ ঘোষ স্যারকে। ঠিক কয়েক দিন আগে হারালাম পাভেল স্যারকে। পাভেল স্যার ছিলেন আমাদের কালচারাল টিমের শিক্ষক।দূর্দান্ত তবলা বাজাতেন। কত শত সাংস্কৃতিক আয়োজনে যে আমরা এক সংগে কাজ করেছি,হিসেব নেই।
আমার গান গাওয়ার ব্যাপারে,অভিনয়ের ব্যাপারে আমাকে সবসময় খুব উৎসাহ দিতেন এবং গর্ববোধ করতেন। বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল আমাদের।’
শোকাহত চঞ্চল লিখেছেন, ‘পাভেল স্যারের অকাল প্রয়াণের সংবাদটি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না। বারবার মনে পড়ে ধানমন্ডি, শংকরের সেই চায়ের দোকান…. পহেলা বৈশাখ, রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী, ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২৫ মার্চের রাতভর অনুষ্ঠান মালা, নবীন বরন, কত কত স্মৃতি।
পাভেল স্যার সব কিছুর উর্ধে চলে গেলেন।
সহকর্মী, বন্ধু পাভেলের চলে যাওয়া যেমন ব্যথিত করে আমাকে, সেই সাথে মৃত্যুকে ক্রমশ: বিশ্বাস যোগ্য করে চলে প্রতিদিন। মানুষকে স্মরণ করি আমরা, তার চেয়ে বোধ হয় অবিরত মৃত্যুকে স্মরণ করা উচিত।
পরপারে ভালো থাকুন পাভেল স্যার, ভালো থাকুন আমার সকল সহকর্মী ভালো থাকুন সবাই।’ ফেসবুকে সদ্য প্রয়াত সহকর্মীর সঙ্গে বেশ কিছুও ছবি পোস্ট করেছেন চঞ্চল। সেসব ছবিতে ক্রেডিট দিয়েছেন তার আরেক সহকর্মী খাঁজা জিয়া স্যারকে।