ছোট পর্দার ব্যস্ত অভিনেত্রী সাবিলা নূর প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। দেখা যাবে ঈদের বেশ কিছু নাটকে। সম্প্রতি শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন জনপ্রিয় স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড ‘গ্লো অ্যান্ড লাভলী’র। এসব নিয়ে কথা বলেছেন তিনি
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। আপাতত শ্যুটিং বন্ধ রেখেছি। ঘরেই আছি। ঈদের কিছু কাজ ছিল। সেগুলো করব কি না, এখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি। প্রতিদিন যে হারে সংক্রমিত হচ্ছে মানুষ, মনে হয় না কাজ করা হবে।
নাটকের পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ের একটি কাজ করেছি। পরিচালক ছিলেন আশফাক নিপুন। আর বি প্রীতমের পরিচালনায় চরকিরও একটি কাজ করেছি। করোনার কারণে খুব বেছে বেছে কাজ করেছি গত এক বছর। ঘর থেকে বের হতেই ভয় লাগে।
নিয়মিত বড় পর্দায় কাজ করার প্রস্তাব পাই। তবে বুঝে-শুনে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে চাই। অপেক্ষা করেছি ভালো কিছুর। তার ফলও পেলাম। আমার প্রথম ছবি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক। এমন একটি ছবিতে অভিনয় করতে পারাটা এখন পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন। এত কম বয়সে শ্যাম বেনেগালের মতো পরিচালকের পরিচালনায় কাজ করছি, ভাবতেই অন্য রকম লাগে। যখন এত বড়মাপের পরিচালক বলেছেন, আমার অভিব্যক্তি ভালো, সুন্দর করে সংলাপ বলি, এসব শুনে দারুণ লেগেছে। ভারতের পুরো ইউনিট থেকে আমি অনেক আদর, প্রশংসা আর উৎসাহ পেয়েছি। ছবিতে আমি ১৪ থেকে ২২ বছরের শেখ রেহানার চরিত্রে অভিনয় করেছি। তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তার জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা আমার সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন; যা আমাকে চরিত্রটি হয়ে উঠতে অনেক সহযোগিতা করেছে।
আমরা সবাই জানি ‘গ্লো অ্যান্ড লাভলী’ দেশের আইকনিক স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড; যা নারীদের এগিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এমন একটি ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে আমি অনেক সম্মানিত ও রোমাঞ্চিত। সাম্প্রতিক সময়ে ‘গ্লো অ্যান্ড লাভলী’র বিজ্ঞাপন দেখে আমি বেশ অনুপ্রাণিত হয়েছি। সেখানেও নারীদের পরিচয় তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। এখন আমি নিজেই ‘গ্লো অ্যান্ড লাভলী’র মাধ্যমে দেশের আত্মবিশ্বাসী নারীদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি। আমি ব্র্যান্ডটির মাধ্যমে দেশের নারীদের পাশে থাকতে চাই, তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারলেই আমার আনন্দ।