১৯৯২ সালে নড়াইলে জন্ম। আসল নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। মাত্র আড়াই বছর বয়সেই মাকে হারান। এরপর চলে যান পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছে। সেখানেই পড়াশোনা করেন তিনি। ২০১১ সালে তিনি ঢাকায় আসেন, নাচ শিখতে ভর্তি হন বুলবুল ললিতকলা একাডেমীতে।
মডেলিংয়ের মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পরীমনি। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচা শুরু করেন। অভিনয়জীবনের শুরুতে টিভির জন্য করেন ‘সেকেন্ড ইনিংস’, ‘এক্সক্লুসিভ’, ‘এক্সট্রা ব্যাচেলর’, ‘নারী’। প্রথম প্রধান চরিত্র করেন ‘নবনীতা তোমার জন্য’তে। এতে তাঁর সহশিল্পী ছিলেন অভিনেতা আমিন খান ও অভিনেত্রী পপি। প্রথম অভিনীত নাটক ‘সেকেন্ড ইনিংস’–এ তাঁর মায়ের চরিত্রে ছিলেন অভিনেত্রী চম্পা। এই অভিনেত্রীই তাঁকে সিনেমায় কাজ করার উৎসাহ দেন।
একটি ছবিতে কাজ শুরু করতে না করতেই একসঙ্গে ২৩টি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে আলোচনায় আসেন পরীমনি। সেই শুরু। ছবি মুক্তির আগেই গণমাধ্যমে নানা রকম খবরে আসতে থাকে তাঁর নাম। এরপর ২০১৫ সালে মুক্তি পায় পরীমনির প্রথম ছবি ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। তবে নায়িকা হিসেবে আলোচনায় আসেন ‘রানা প্লাজা’ ছবিটিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর। ২০১৮–তে গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে তাঁর অভিনয় সাধারণ দর্শকের পাশাপাশি সমালোচকের প্রশংসা লাভ করে। ছবিটির জন্য মেরিল–প্রথম আলো বিশেষ সমালোচনা পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
প্রথাবহির্ভূত জীবনযাপন প্রণালির জন্য পরীমনিকে নিয়ে সাধারণ সমাজে নানা রকম আলোচনা–সমালোচনা আছে। ঢাকায় আসার আগেই তাঁর বিয়ে হয়েছিল, এমন কথাও শোনা গিয়েছিল। এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কোনো লুকোছাপা না করেই সাংবাদিকদের জবাব দিয়েছেন, ‘আমার বহু ছেলের সঙ্গে ছবি আছে।’ ২০১৮ সালে এক সাংবাদিকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বাগ্দান হয়। পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। ২০২০ সালের ৯ মার্চ তিন টাকা দেনমোহরে পরিচালক কামরুজ্জামান রনিকে বিয়ে করে হইচই ফেলে দেন। সেই বিয়েও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।