সিনেমা দেখে গুপ্তধনের খোঁজে রাতভর খোঁড়াখুঁড়ি
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৫, ১৭: ৫২
ভিকি কৌশল অভিনীত ‘ছাবা’ সিনেমা দেখে গুপ্তধনের খোঁজে গ্রামবাসী। ছবি: সংগৃহীত
সিনেমায় তো কত কিছুই দেখানো হয়! তাতে সত্যি থাকে খুব কম, বেশির ভাগই অবাস্তব ও কাল্পনিক। কিন্তু সেটা বোঝে কজন! সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘ছাবা’ সিনেমাতে দেখানো হয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক জায়গার গল্প। বলা হয়েছে, এককালে সেখানে ছিল মুঘলদের বাস। মাটির নিচে মুঘলরা পুঁতে রেখেছিল মূল্যবান গুপ্তধন। ব্যস, আর যায় কোথায়! শত শত লোক নেমে পড়েছে সেই গুপ্তধনের খোঁজে।
ভিকি কৌশল অভিনীত ছাবা সিনেমাটি ভালোই সাড়া ফেলেছে। অল্প দিনেই ৫০০ কোটি রুপির গণ্ডি টপকে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। তবে সিনেমাটির প্রভাব যে এত সুদূরপ্রসারী হবে, তা আঁচ করতে পারেনি কেউ। ছাবা সিনেমায় মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরের নাম নেওয়া হয়েছে। দেখানো হয়েছে, এককালে মুঘলদের বাস ছিল সেখানে। আর তা থেকেই কিছু মানুষের মনে হয়েছে, এখানেই লুকিয়ে আছে মুঘলদের গুপ্তধন!
রাতের অন্ধকারে টর্চ-শাবল-গাঁইতি নিয়ে খননকার্য চালিয়েছে বুরহানপুরের আসিরগড়ের জনতা। তাদের ধারণা, মাটি খুঁড়ে মুঘল আমলের স্বর্ণমুদ্রা কিংবা গুপ্তধনের হদিস মিললেও মিলতে পারে। অনেকে দাবি করেছেন, ওই এলাকায় নাকি কেউ কেউ স্বর্ণমুদ্রা দেখতেও পেয়েছেন।
জানা গেছে, আসিরগড় দুর্গের চারপাশে পুরোদমে চলেছে খননকার্য। এমনকি মেটাল ডিটেক্টর দিয়েও চারপাশ পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, সোনাদানা কোথাও লুকিয়ে আছে কি না! আসিরগড়ের বাসিন্দাদের এমন খোঁড়াখুঁড়িতে বিরক্ত সেই অঞ্চলের জমির মালিকেরা। আপত্তি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কে শোনে কার কথা? পরে পুলিশের সাহায্যে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করা হয়।