সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করছেন অন্যতম অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী। এ বাঙালি নায়িকার দাবি, বোন প্রিয়াঙ্কা সিং ও তার স্বামী সিদ্ধার্থ তানওয়ারের সঙ্গে সুশান্ত প্রায়ই মাদক সেবন করতেন। তারা অভিনেতাকে মাদকের জোগানও দিতেন।
নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো তথা এনসিবির কাছে এমনই দাবি করেছেন রিয়া চক্রবর্তী। সম্প্রতি সংস্থাটির চার্টশিট থেকে এই তথ্যই উঠে এসেছে।
সেখানে রিয়া বলেছেন, গত বছর ৮ জুন প্রিয়াঙ্কা হোয়াটসঅ্যাপে সুশান্তকে একটি মেসেজ পাঠান। যেখানে ভাইকে তার কাছ থেকে লিব্রিয়াম ১০ এমজি ও নেক্সিটো সংগ্রহ করতে বলেন। ভারতের আইন অনুসারে এগুলো মাদকের পর্যায়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, তরুণ নামে একজন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞের প্রেসক্রিপশন প্রিয়াঙ্কা দিয়েছিলেন সুশান্তকে। ওই ডাক্তারের সঙ্গে ‘দিল বেচারা’ নায়কের কোনোরকম কথাবার্তা ছাড়াই ওই প্রেসক্রিপশন নেওয়া হয়েছিল।
রিয়া মনে করছেন এ সব মাদক নেওয়ার জন্যই সুশান্তর মৃত্যু হয়েছে। এও বলেন, আরেক বোন মিতু মৃত্যুর কিছুদিন আগেই ৮ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত মুম্বাইয়ে অভিনেতার সঙ্গে থাকতে এসেছিলেন।
সব মিলিয়ে রিয়ার কথায়, তার সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়ার আগে থেকেই সুশান্ত মাদকাসক্ত ছিলেন।
গত বছর সুশান্ত সিং রাজপুতের আচমকা মৃত্যুর পরে অভিনেতার পরিবারের তরফ থেকে রিয়া চক্রবর্তীর নামে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। বেশ কিছু দিন ধরেই সুশান্ত ও রিয়া সম্পর্কে ছিলেন। দুজন একসঙ্গে থাকতেন, যদিও পরে তাদের ব্রেকআপ হয়। সুশান্তর টাকার জন্য তাকে মাদকাসক্ত করিয়ে তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন রিয়া— এই অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করেছিলেন সুশান্তর পরিবার।
যদিও ওই অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করেছেন রিয়া। উল্টো সুশান্তর মাদকাসক্ত হওয়া ও মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার পরিবারকেই দোষারোপ করছেন।
সম্প্রতি এনসিবি গ্রেপ্তার করেছেন সুশান্তর ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানিকে।
সুশান্তর আত্মহত্যার মাস খানেকের মধ্যে মাদক মামলায় আটক হন রিয়া। এক মাস জেলে খেটে জামিন পান তিনি। তবে সুশান্তর মৃত্যুর সঙ্গে নায়িকার কোনো যোগসূত্র পায়নি তদন্ত সংস্থা।