মাত্র কয়েক মাস আগেই ঘটা করে নিজের ৪৭তম জন্মদিন উদ্যাপন করেছিলেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। ১৯৭৫ সালের ১৯ নভেম্বর ভারতের তেলিঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদ শহরে জন্ম নেওয়া এই অভিনেত্রী হঠাৎ আজ জানালেন নিজের অসুস্থতার কথা।
আজ বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে বাবার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে সুস্মিতা জানান, কদিন আগে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। এমনকি হার্টে রিং’ও বসাতে হয়েছিল। তবে ভক্তদের জন্য স্বস্তির বিষয় সুস্মিতা এখন সুস্থ আছেন।
ইনস্টাগ্রামে বাবার সঙ্গে শেয়ার করা ওই ছবির ক্যাপশনে সুস্মিতা সেন লেখেন, ‘আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, ‘‘নিজের হৃদয়কে খুশি রাখো এবং নির্ভীক করে তোলো। যখন তোমার সবচেয়ে বেশি দরকার হবে তখন এটি তোমার পাশে থাকবে সোনা।’’ কয়েক দিন আগে আমার হার্ট অ্যাটাক হয়। অ্যানজিওপ্লাস্টি করা হয়েছে, রিং পরানো হয়েছে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ—চিকিৎসক আমাকে বলেছেন, আমার হৃদয় সত্যিই বড়।’
নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই অভিনেত্রী আরও লেখেন, সময়মতো এগিয়ে এসে সহায়তা করার জন্য ধন্যবাদ। তাঁদের জন্য আলাদা করে আরেকটি পোস্ট দেওয়া হবে।
এখন ভালো আছেন জানিয়ে সুস্মিতা লেখেন, ‘এখন সবকিছু ঠিকঠাক আছে, এই ভালো সংবাদ শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানাতে এই পোস্ট করেছি। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য আমি প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ‘দস্তক’ চলচ্চিত্র দিয়ে সুস্মিতা সেনের রুপালি পর্দায় অভিষেক। ছবিটি খুব একটা দর্শকপ্রিয়তা পায়নি। কিন্তু ১৯৯৭ সালে তামিল অ্যাকশন চলচ্চিত্র ‘রাচাগান’–এ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯৯ সালে ডেভিড ধাওয়ানের ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’-এ সহ-অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করেন। মূলত এর পরই বলিউডে তাঁর নামডাক হয়।
বিবি নাম্বার ওয়ানের জন্য ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কারও জেতেন সুস্মিতা। ২০০৪ সালে তাঁর সবচেয়ে হিট সিনেমাটি শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘ম্যায় হুঁ না’। এর পরে অজয় দেবগনের সঙ্গে ‘ম্যায় অ্যাইসা হি হুঁ’ ছবিতে কাজ করেন, ২০০৫ সালে ‘ম্যায়নে পিয়ার কিঁউ কিয়া’ এবং ‘আঁখে’, ‘কার্মা’, ‘হোলি’র মতো আরও কিছু জনপ্রিয় ছবিতে কাজ করেন।
সমাজের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুই মেয়ে আলিশা ও রেনেকে দত্তক নিয়েছেন সুস্মিতা। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে নিজের দায়িত্বে অবিচল তিনি। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একাধিকবার শিরোনামে থাকলেও অভিনেত্রী তাঁর জীবন পরিচালনা করেছেন নিজের ছন্দেই।