যে স্ট্যান্ডে এক সময় রিকশা নিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতেন, সেই স্ট্যান্ডেই জানাজা হলো রিকশাচালক থেকে তারকা বনে যাওয়া আকবরের। আজ সোমবার ভোররাতে আকবরের মরদেহ ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোরে নিয়ে আসা হয়। শহরের ধর্মতলার কদমতলায় তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আকবরের জানাজা শেষে কারবালা কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এই গায়ক। এ সময় তাঁর স্ত্রী সন্তানসহ স্বজন, এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
সাদামাটা একটা জীবন ছিল আকবরের, যে জীবন কখনো ঘুণাক্ষরে ভাবেননি একদিন তারকাখ্যাতি মিলবে। কিন্তু একদিন ঠিকই মিলেছে, কিশোর কুমারের গাওয়া ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে’ গানটি গেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন আকবর। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে সেই গান প্রচারের পর রাতারাতিই বদলে যায় তাঁর জীবন। যশোরের রিকশাচালক আকবর হয়ে ওঠেন দেশের সবার কাছে গায়ক আকবর। বাড়তে থাকে আয়-রোজগার।
পেশাদার গানের জীবনের ১০ বছরের মাথায় এসে ধরা পড়ে জটিল সব রোগ। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আকবর। হাসপাতালের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকার বাসায়। সেখানে বাদ এশা মিরপুর ১৩ নম্বর কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।