জীবনমুখী ও বাস্তবধর্মী গান দিয়ে আগেই নিজের জাত চিনিয়েছেন। এখন সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে স্ট্যান্ডবাই সং শিরোনামের সিরিজ গান তৈরি করে নতুন করে আলোচনায় কণ্ঠশিল্পী আমিরুল মোমেনীন মানিক। বাংলা গানের প্রচলিত ধারাকে ভেঙে ইতিমধ্যে তার গাওয়া প্রথম স্ট্যান্ডবাই সং ‘মধ্যবিত্ত চুচু ভাই’ ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। শুধুমাত্র শিল্পীর ভেরিফাইড ফেসবুকেই গানটি ১২ লাখ ভিউ অতিক্রম করেছে। এ ছাড়া চলতি সময়ের নানা অসঙ্গতি নিয়ে তিনি ধারাবাহিকভাবে গেয়েছেন ‘বুগিজুগি বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড’, ‘উগান্ডাকে বলে দিয়েছি’,‘বাঘের কণ্ঠে শুনি বিড়ালের ডাক’, ‘সীমান্ত প্রহরী’, ‘ভোর কী জানে সকাল কবে?’, ‘বুকপকেটে বিপ্লব’, ‘ইডেন কলেজ’, ‘সুগার ড্যাডি’ প্রভৃতি শিরোনামের গান। শিল্পীর নিজের লেখা ও সুর করা গানগুলো তাৎক্ষণিক ঘটনাকে সামনে রেখে তাৎক্ষণিক গাওয়া বলে তিনি নাম দিয়েছেন স্ট্যান্ডবাই সং। এ গানগুলো দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন কিংবদন্তি শিল্পী নচিকেতা। তিনি মানিককে লিখে দিয়েছেন নতুন একটি স্ট্যান্ডবাই সং। খুব শিগগিরই নচিকেতা’র কথায় প্রকাশ হবে ‘তুমি কোন্ পার্টির লোক’ শিরোনামের গানটি। ইউনেস্কো ক্লাব জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক, লেখক হিসেবেও পেয়েছেন পরিচিতি।
২০১২ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত তার লেখা ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় স্টুপিড শিক্ষক’ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রীত বই। ২০০৫ সালে ‘মা যে দশ মাস দশ দিন’ শিরোনামের একটি গান গেয়ে তিনি বিপুল পরিচিতি পান। এরপর একে একে প্রকাশ হয় ‘সাড়া’, ‘আলোর পরশ’, ‘প্রহরী’, ‘আপিল বিভাগ’, ‘মা’ নামের অ্যালবাম। ২০১৪ সালে বাংলা গানের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে আমিরুল মোমেনীন মানিকের ‘আয় ভোর’ শিরোনামের দ্বৈত গান সাড়া ফেলে। ইউটিউবে নিজের ‘মানিক মিউজিক’ এ তিনি ধারাবাহিকভাবে নতুন গান প্রকাশ করছেন। শুধু নিজে গায়ক হিসেবে নন, বরং জীবনমুখী গানের গীতিকার ও সুরকার হিসেবেও আলাদা জায়গা তৈরি করেছেন মানিক। ইতিমধ্যে তার কথায় গেয়েছেন রথীন্দ্রনাথ রায়, নকুল কুমার বিশ্বাস, কুমার বিশ্বজিৎ, আগুন, আসিফ আকবর, এসআই টুটুল, প্রমিথিউসের বিপ্লব, ফজলুর রহমান বাবু, রাজিব, লিজাসহ অনেকে। তিনি পেয়েছেন লন্ডন সাংস্কৃতির উৎসব অ্যাওয়ার্ড, শিল্পকলা একাডেমি শিল্পী সম্মাননা, পশ্চিমবঙ্গ শিল্পী সম্মাননা (ভারত-কলকাতা), আরশীকথা সম্মাননা (ত্রিপুরা, ভারত)সহ অনেক পুরস্কার। সবমিলিয়ে গানের মধ্যদিয়ে মানবতার কথা তুলে ধরাই আমিরুল মোমেনীন মানিকের নিরন্তর ধ্যান ও লক্ষ্য।