সঞ্চালক ক্রিস রককে চড় মারার পর অস্কার ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল অভিনেতা উইল স্মিথকে, কিন্তু তিনি তা করতে অস্বীকৃতি জানান। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস কর্তৃপক্ষ এমনটা জানিয়েছে।
ঘটনার পর কেন স্মিথকে ডলবি থিয়েটারের সামনের সারিতে বসতে দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। এর জবাবে একাডেমি জানায়, ‘ক্রিস রককে চড় মারার পর উইল স্মিথকে অস্কার ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলি আমরা, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। আমরা এটাও স্বীকার করি যে পরিস্থিতি অন্যভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেত।’
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে স্মিথের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একাডেমির পরিচালনা পর্ষদ বুধবার বৈঠকে বসে। স্মিথের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মধ্যে স্থগিতাদেশ কিংবা নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে জানা গেছে।
একাডেমি বলছে যে ১৮ এপ্রিল কমিটির ফের বৈঠকের আগে স্মিথের একটি লিখিত প্রতিক্রিয়া দিয়ে নিজেকে রক্ষার সুযোগ রয়েছে। ৯৪তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে উইল স্মিথের ক্রিয়াকলাপ মর্মান্তিক ও আক্রমণাত্মক বলেও উল্লেখ করা হয়।
একাডেমি কর্তৃপক্ষ আরও বলে, ‘ক্রিস রক, আমাদের মঞ্চে যা হয়েছে আপনার সঙ্গে তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী এবং সেই সময়ে আপনার ধৈর্যশীল আচরণের জন্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের মনোনীত ব্যক্তি, অতিথি ও দর্শকদের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থী।’
রোববার রাতে ৯৪তম অস্কারের মঞ্চে সঞ্চালক ক্রিস রককে রসিকতার জবাবে চড় মারেন উইল স্মিথ। পরে অবশ্য নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান উইল। ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন সদ্য অস্কার বিজয়ী অভিনেতা। উইল স্মিথ লিখেছেন, ‘ক্রিস, তোমার কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইছি। আমি সীমা লঙ্ঘন করেছি, ভুল করেছি। যা করেছি, তা অন্যায় এবং তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমি অত্যন্ত লজ্জিত। আমার চরিত্রের সঙ্গে এমন কাজ মেলে না।’
স্মিথ আরও লিখেছেন, ‘কৌতুক আমাদের পেশার অংশ। কিন্তু স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রসিকতা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। ফলে আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম। তাই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি, যা ঠিক হয়নি।’
উল্লেখ্য, এবারের অস্কার আসরে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন উইল স্মিথ। পুরস্কার অনুষ্ঠানে পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী জাডা। ২০১৮ সালে নিজের কঠিন অসুখের কথা জানান তিনি। তাঁর সব চুল পড়ে যায়। অস্কারের মঞ্চে জাডার চুল নিয়েই রসিকতা করেছিলেন ক্রিস রক। তখনই রককে চড় মারেন উইল।