চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২০২১ সালের ২৭ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য মিলন মৃধা বনাম মৃধা চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার লাভ করেন। পুরস্কার পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মিলন।
ফেসবুকে মিলন ভট্টাচার্য লেখেন, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করলাম। কেমন অনুভূতি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আজ বাবার কথা খুব মনে পড়ছে বেঁচে থাকলে কতটা খুশি হতেন। আমার নাট্যগুরু কচি খন্দকারের কথা মনে পড়ছে যার হাত ধরে আমার এই অঙ্গনে পদার্পণ।’
পুরস্কার পাওয়া চলচ্চিত্রটির টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিলন লেখেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ আমার মৃধা বনাম মৃধা সিনেমার পরিচালক রনি ভৌমিক এবং কৃতজ্ঞতা জানাই রায়হান খানের প্রতি। যার গল্পে আমার চরিত্র সৃষ্টি না হলে আজকেরে এই অর্জন সম্ভব হতো না, সর্বোপরি বিনম্র কৃতজ্ঞতা জানাই তারিক আনাম খান স্যারকে যিনি পাশে শিক্ষক হিসেবে ছিলেন বলেই আজকের এই অর্জন।
পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি মিলন, তিনি লিখেছেন, ‘ভালোবাসা আমার সহধর্মিণীর প্রতি সব সময় আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। আমার বড় বোনের প্রতি কৃতজ্ঞতা, আমার ভাইদের প্রতিও। আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা জানাই আমার শ্বশুর ও শাশুড়ির প্রতি যারা সব সময় আমাকে এই কাজে উৎসাহ দিয়ে আসছেন। আমার মায়ের কথা কি বলব, আমার এই অর্জন উৎসর্গ করলাম তোমার পায়ে মা।’
এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৩ সদস্যের জুরিবোর্ড গঠন করে। ২০২১ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ২১টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, ১৭টি স্বল্পদৈর্ঘ্য, ৭টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্রসহ মোট ৪৫টি চলচ্চিত্র থেকে বাছাই করা হয় এবারের বিজয়ীদের। পুরস্কার হিসেবে নির্বাচিত সবাইকে দেওয়া হয়েছে ১৮ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের সোনা দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও এককালীন সম্মানী ও সম্মাননাপত্র। আজীবন সম্মাননার জন্য ৩ লাখ, শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের জন্য ২ লাখ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দেওয়া হয় ১ লাখ টাকা করে।