পিপলু আর খান, মেজবাউর রহমান সুমন ও আবরার আতহার- সময়ের তিন মেধাবী নির্মাতা। যারা একটি সিনেমার মাধ্যমে নিজেদের গাঁথলেন একই সুতোয়। অ্যান্থলজি এই সিনেমাটির নাম ‘এই মুহূর্তে’। শুটিং শেষ। যা শিগগিরই দেখা যাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে।
পরিচালক আবরার আতহার বলেন, ‘পিপলু ভাই ও সুমন ভাইয়ের সাথে কাজ করাটা ছিল আমার জন্য ভয়ের, চ্যালেঞ্জের ও এক্সসাইটমেন্টের। আর অনেক কিছু শেখারও ছিল। আমরা তিনজন একদম ভিন্ন তিন রকমের গল্পকার। আমরা সবাই সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। যা প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে ঘটে থাকে তা অনন্য শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি, দর্শক এটা দেখে মজা পাবে।’
প্রায় একযুগ পর ফিকশন বানালেন মেজবাউর রহমান সুমন। তাই ‘এই মুহূর্তে’ অ্যান্থলজি সিনেমাটি নিয়ে তিনিও বেশ উচ্ছ্বসিত। সুমন বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে আবার ফিকশনে ফেরা। আর সেটা একটা অ্যান্থলজি প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে। সামনে আমার আরেকটা সিনেমা মুক্তি পাবে। সব মিলিয়ে আমার জন্য সময়টা খুব আনন্দের।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রজেক্টে সব থেকে ভালো লাগার বিষয় হলো পিপুল ভাই ও আবরারের সাথে কাজ করা। এই কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের তিন পরিচালকের চিন্তার জায়গাগুলো একে অপরের মধ্যে আদান প্রদান করতে পেরেছি। সেটা হয়তো আড্ডার ছলেও হয় কিন্তু এবার সেটা কাজের মাধ্যমে খুব বেগবান হয়েছে।’
টিভিসি জগতে পরিচিত এক নাম পিপলু আর খান। এর আগে ‘হাসিনা: এ ডটার্স টেল’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র বানিয়ে বেশ আলোচনায় এসেছে। এই অ্যান্থলজি সিনেমার একটি গল্প তার নির্মিত।
পিপলু আর খান বলেন, ‘এই কনটেন্টটা ইন্টারেস্টিং দুইটা কারণে। প্রথমত, এই মুহূর্তে খুব কোয়ালিফাই করে যে, সোসাইটির কিছুর গভীর ক্ষত বা প্রবাহ আমরা যেরকম দেখি সেভাবে দেখনো। দ্বিতীয়ত, এইটা একটা সেন্সবল ও সেন্সিটিভ প্রজেক্ট। আমরা তিনজন চেষ্টা করেছি সমসাময়িক যে ঘটনাগুলা হয়েছে সেটার একটা ফিকশনাল ব্যাখ্যা তৈরি করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক অর্থে এটা আমার প্রথম ফিকশন। এর আগে আমি কখনও ফিকশন বানাইনি। এই প্রজেক্টের যে সামাজিক সচেতনতা আছে তা সময় উপযোগী। এই মুহূর্তে হচ্ছে আমাদের সমাজের এক প্রকার পরাজয়ের গল্প, হেরে যাওয়ার গল্প। যেটা সৃজনশীলভাবে দর্শকের কাছে নিতে চাই।’