মামলায় নাম জড়াল চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের। তবে বিগত সরকারের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে নয়, তাঁর নামে মামলা হয়েছে ইউটিউব চ্যানেল হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে। অপু বিশ্বাসের সঙ্গে মামলায় নাম আছে হিরো আলমেরও। মামলাটি করেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি। তবে অপু বিশ্বাস জানান, এ বিষয়ে অবগত নন তিনি।
প্রযোজক সিমির দাবি, তাঁর ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। অপুর ইউটিউব চ্যানেল আপন দেখভাল করেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে এর আগে সাধারণ ডায়েরি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে সুরাহা করার চেষ্টা করেছিলেন সিমি। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টে সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেননি অপু বিশ্বাস। তাই বাধ্য হয়ে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি। বিষয়টি জানতে পেরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি।
অপু বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত
এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় সিমির কাছে। জানানো হয় অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এটি চাওয়া হয়েছে। দর-কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন সিমি। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তাঁরা। কিন্তু সিমি দেখতে পান, তাঁর চ্যানেলে থাকা আগের ভিডিওগুলো নেই।
বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তাঁরা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দিতে কালক্ষেপণ করেন। বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও অভিযোগ করা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সিমি।
অপু বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত
মামলার বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করলে আজকের পত্রিকাকে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এটা তো অনেক আগের ঘটনা। উনি (কলি) এখন আবার কোথা থেকে এসব করলেন, সেটা বুঝতে পারছি না। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমেই খবরটা শুনলাম। এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি এসব দেখি না। আমার অ্যাডমিন বিষয়গুলো দেখে থাকে।’
সিমি ইসলাম কলির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না, জানতে চাইলে অপু বলেন, ‘কলি তো সিনেমার মানুষ। এখন তো সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এমনিতেই শোচনীয়। এ সময়ে এসব বিষয় নিয়ে বিতর্ক কেন সৃষ্টি করছে, সেটা বুঝতে পারছি না। দেখি ওর সঙ্গে কথা বলে। হঠাৎ করে কেন এত কষ্ট পেল! কথা বলার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’