আলোচনা প্রসঙ্গে এ কথাই বলেছেন পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর। তিনি আচলকে নিয়ে এ পর্যন্ত দুটি ছবি নির্মাণ করেছেন। ছবিগুলো হলো ‘আয়না’ ও ‘কাজের ছেলে’। দু’দিন আগে পরিচালক দেওয়ান নাজমুলের স্বপ্নতরু ষ্টুডিওতে কাজের ছেলে ছবির ডাবিংয়ের সময় আচলের উপস্থিতিতেই তিনি এ রিপোর্টারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আচল সম্প্রতি একশ’ ছবির মধ্যে বেশ ক’টি ছবির অফার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি চান না, যে ছবিতে তার করণীয় কিছু থাকবে না, সে ছবিতে তিনি কাজ করতে চান না। তবে একশ’ ছবির মধ্যে একটি ছবি তিনি করেছেন।
মনতাজুর রহমান আকবর জানান, আয়না ও কাজের ছেলে ছবিতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আচল। বৈশিষ্ট্যমন্ডিত চরিত্রে অভিনয় না করলে একজন পারফর্মারের ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত হয় না। একজন তারকার আয়ু নির্ভর করে জনপ্রিয়তার ওপর। সেই জনপ্রিয়তা এক সময় ক্ষয়িষ্ণুতার দিকে চলে যায়। কিন্তু যিনি ভালো পারফর্মার দিন দিন তিনি নানা ধরনের চরিত্রের মধ্য দিয়ে কেবলই শাণিত হতে থাকেন। আচল এখন সেই শাণিত পথেই এগিয়ে যেতে চান। মনতাজুর রহমান আকবর বলেন, ‘সে এখন বেশ ভালো করছে। এর কারণ হলো আচল এখন কাজের প্রতি খুব সিরিয়াস এবং পর্দায় সে দীর্ঘদিন টিকে থাকতে চায়।’ আচলকেও দেখা গেল খুব মনোযোগ দিয়েই ডাবিং করছিলেন।
তার মধ্যে এখন নায়িকাসুলভ কোনো নখরা নেই। আচল ডাবিং থিয়েটারে ডুকতেই আকবর বললেন, ‘রোজা তো আছ। ইফতার কি করবে বলো?’ জবাবে আচল বললেন, ‘এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি হলেই চলবে।’ আকবর বলেন, ‘সেটাতো আছেই। আর কিছু?’ আচল বলেন, ‘না, সবাই যা দিয়ে ইফতার করবে, আমিও সেটা দিয়েই করব। আলাদা কিছু লাগবে না। তবে ডাবিংয়ের গলা ঠিক রাখার জন্য আপনার স্বার্থে খুব বেশি হলে একটা ডাব খাওয়াতে পারেন।’ আকবর হেসে দিয়ে বললেন, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে, যাও ডাবিং শুরু করে দাও।’ আচল ডাবিং থিয়েটারে ডুকে গেলেন।