বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি রুপি পাচারের অভিযোগ এনেছে ভারতের আর্থিক দুর্নীতির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট–ইডি। তবে, ইডির অভিযোগ মাথায় নিয়েই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ‘ডিয়ার মি’ শিরোনামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিয়ার মি শিরোনামে প্রকাশিত ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘প্রিয়, আমার সব ভালো জিনিসই প্রাপ্য, আমি শক্তিশালী, আমি যেমন সেভাবেই নিজেকে মেনে নিয়েছি, সবকিছু ঠিক হবে, আমি শক্তিশালী, আমি অবশ্যই আমার লক্ষ্য এবং স্বপ্ন পূরণ করবই এবং আমি এটি করতে সক্ষম।’
সম্প্রতি, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নামে একটি সম্পূরক অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। ইডি তা দিল্লি আদালতে জমাও দেয়। এই মামলায় এরই মধ্যে জেলে রয়েছেন জ্যাকুলিনের এক সময়ের ‘বিশেষ বন্ধু’ সুকেশ চন্দ্রশেখর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড পেতে পারেন জ্যাকুলিন।
এর আগে, চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অদিতি সিং এবং শিবেন্দর সিং নামের দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ২১৫ কোটি রুপি চাঁদাবাজি করেছেন। ওই দুজন প্রখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠান র্যানব্যাক্সির কর্মী ছিলেন।
ইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, সুকেশ চন্দ্রশেখর জ্যাকুলিনকে ৫২ লাখ রুপি মূল্যের একটি ঘোড়া, ৯ লাখ রুপি মূল্যের একটি পারসিয়ান বিড়ালসহ সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি রুপি সমমূল্যের উপহার দিয়েছিলেন। এর আগে, জ্যাকুলিন নিজেও ইডিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন—তিনি চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে বিশ্ব খ্যাত দুই ব্র্যান্ড গুচ্চি এবং শ্যানেলের ব্যাগ, কাপড় এবং বিভিন্ন রঙের দামি পাথরে মোড়ানো একটি ব্রেসলেট উপহার পেয়েছিলেন।
ইডির সূত্র আরও জানিয়েছে, জ্যাকুলিন নিজেও এসব উপহারের অর্থের উৎসের বিষয়ে জানতেন। চন্দ্রশেখর তাঁর দীর্ঘদিনের সহযোগী পিংকি ইরানির মাধ্যমে এসব উপহার জ্যাকুলিনকে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ইডির ওই সূত্র। পিংকি ইরানি নিজেও এই মামলার একজন অভিযুক্ত। এই মামলায় এখন পর্যন্ত চন্দ্রশেখর, তাঁর স্ত্রী লীনা মারিয়াসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।