ছোট পর্দার এই সময়ের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী কেয়া পায়েল। গত ঈদে তাঁর অভিনীত একাধিক নাটক প্রশংসিত হয়েছে। প্রস্তুতি নিচ্ছেন আসছে ঈদের। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর রাকিব হাসান।
গত ঈদে ২০টির বেশি নাটক প্রচার হয়েছে। রেসপন্স কেমন?
অনেক নাটক আলোচিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে ‘ভুলো না আমায়’, ‘লিলুয়া’, ‘রংঢং’, ‘সুইটি আই লাভ ইউ’, ‘এক জনমে’, ‘নসিব’, ‘সুপার অনেস্ট’, ‘মিশন ফেইল’ ইত্যাদি।
এক ঈদে এত নাটকে অভিনয় করার কারণ কী?
আমি সময়-সুযোগ পেলে কাজটা করার চেষ্টা করি। এক ঈদে গুনে পাঁচটা করব, এটা কখনো ভাবি না। আমি চাই বেশি বেশি কাজ করতে। তাহলে আমার অভিজ্ঞতা যেমন বাড়বে, তেমনি ভালো চরিত্রে কাজ করার সুযোগটাও বাড়বে। আমার ক্যারিয়ার তো সবে শুরু। এর মধ্যে এত বিচার করলে হয়তো অনেক চরিত্র করাই হবে না।
সে ক্ষেত্রে চরিত্রের ভিন্নতা কি খুব মেলে?
দর্শকও হয়তো দেখল পাঁচটা নাটকে আমি ঘরের বউ হয়েছি। কিন্তু নাটকে ওই চরিত্রটার যে জার্নি, সেটা যদি ভিন্ন হয়, তাহলে তো অভিনয় করতে সমস্যা নেই।
ঈদের পরের ব্যস্ততা কী?
কাজ শুরু করেছি। ভারতে গিয়েছিলাম তিব্বত পাউডারের বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে। রাফাত মজুমদার রিংকুর ‘জয়েন্ট ফ্যামিলি’ ধারাবাহিক দিয়ে নাটকের শুটিং শুরু করলাম। গ্রামীণ ইউনিক্লোর একটা ফটোশুট করেছি। কোরবানি ঈদের নাটক নিয়ে কথা চলছে। বেশ কয়েকটি নাটকের স্ক্রিপ্ট পেয়েছি।
শুরুর গল্পটা বলবেন?
২০১৮ সালে শখ করে একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছিলাম। বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর ওই বছরই একে একে সংগীতশিল্পী তাহসান, হাবিব ওয়াহিদ ও ইমরান মাহমুদুলের গানে মডেল হওয়া। ওই বছরের শেষের দিকে ‘একটাই আমার তুমি’ নামে এক ঘণ্টার নাটকে কাজ করি। তাও আবার আফরান নিশোর বিপরীতে। তবে ২০২০ সাল থেকে অভিনয়ে নিয়মিত হই। এরপর এই সময়ের সব আলোচিত অভিনয়শিল্পীর সঙ্গেই অভিনয়ের সুযোগ হয়েছে। তিন বছরে দেড় শতাধিক নাটকে অভিনয় করা হয়েছে। প্রশংসনীয় নাটকের সংখ্যা বাড়ছে। তবে তাতে চরিত্রের ক্ষুধা মেটেনি।
সেটা কেমন?
এই ছোট্ট ক্যারিয়ারে প্রশংসিত অনেক নাটকের অংশ হয়েছি। কিন্তু আমার চরিত্রটা সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে এমন কাজ এখনো করা হয়নি। আমার অভিনীত চরিত্রটা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হবে বা ওই চরিত্র নিয়ে আমি সংবাদমাধ্যমে অনেক কথা বলতে পারব, তেমন চরিত্রের ক্ষুধাটা প্রতিনিয়ত টের পাই।
বিশেষ কারও সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করাটা কীভাবে দেখেন?
এই সময়ের জনপ্রিয় প্রায় সব অভিনেতার সঙ্গেই আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। হিরো দেখে কাজ করি না। আমি পরিচালক দেখি প্রথম, তারপর গল্পটায় আমি কীভাবে আছি। কারও সঙ্গে জুটি বেঁধেই আলোচনায় আসতে হবে এমন কথায় বিশ্বাসী নই।
চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
২০১৮ সালের শেষে আনিসুর রহমান মিলনের বিপরীতে ‘ইন্দুবালা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলাম। এরপর একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও চিত্রনাট্য পছন্দ না হওয়া এবং পারিপার্শ্বিকতার কারণে কাজ করা হয়নি। তবে চলচ্চিত্রে এখন তারুণ্যের প্রতিফলন ঘটছে, বিষয়টি আমাকে ভীষণ আশাবাদী করে।
পড়াশোনায়ও তো রয়েছে ব্যস্ততা?
আমি সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ে শেষ বর্ষে পড়ছি। অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাটা নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া সত্যিই চ্যালেঞ্জের।