সালমান খানের নামের পাশে সুপারস্টার, মানবিকতা শব্দগুলো খুবই মানানসই। তিনি কারো নামে মামলা করেছেন এমনটা শুনলে মনে খটকা লাগে। আর সেই মামলাও কি না তার সিনেমার সমালোচনার জন্য!
সারা দুনিয়াতেই সিনেমা মুক্তির পর তারকারা প্রশংসা ও সমালোচনা দুইই পান। কেউ বলেন সিনেমাটি ম-ম ছুঁয়েছে কেউ আবার সমালোচনায় ভাসান। সবার মন রক্ষা করা তো আর যায় না। কোটি কোটি ভক্তের প্রিয় নায়ক সালমান খানেরও সিনেমা নিয়ে সমালোচনা হয়।
তাই বলে কারো বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেছেন এমনটা শোনা যায়নি৷ কিন্তু সেটাই হলো। মুক্তির প্রথম দিনই বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের ‘রাধে: ইওর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই’ নিয়ে বিরূপভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন ‘বিতর্কিত’ সিনেমা সমালোচক কমল রশিদ খান। রিভিউ দিতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে ব্যঙ্গাত্মকভাবে কাঁদতে দেখা যায় তাকে।
তার সেই ভিডিও দেখেই বিরক্ত হয়েছেন বলিউডের ‘ভাইজান’। তাই কেআরকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। এমনটাই দাবি করেছেন কেআরকে নিজে। এরই মধ্যে নাকি নোটিশ চলে গেছে তার বাড়িতে। আর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে মুম্বাইয়ের দায়রা আদালতে।
সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘প্রিয় সালমান খান, এই মানহানির মামলাই প্রমাণ করে আপনি হতাশ। আমি আমার অনুসারীদের জন্য রিভিউ দিয়েছি। আমাকে আপনার সিনেমার পর্যালোচনা করতে বাধা না দিয়ে আপনার উচিৎ ভালো সিনেমা করা। আমি সত্যের জন্য লড়েই যাবো! ধন্যবাদ এই মামলার জন্য।’
আরেক টুইটে তিনি মামলাটি নিয়ে উপহাস করে লেখেন, ‘আদালতে মামলাটির শিরোনাম খুব ভালো লাগবে, খান বনাম খান! এরপর কেআরকে জানান, তার রিভিউর কারণে যেহেতু সালমান খানের সিনেমার ক্ষতি হচ্ছে, তাই ভবিষ্যতে তিনি আর এই অভিনেতার সিনেমার রিউভ করবেন না।
এর আগে ‘রাধে’র রিভিউ দিতে গিয়ে কেআরকে বলেন, ‘দুবাইয়ের ভক্স সিনেমায় রাধে দেখলাম। কিন্তু এখনই সিনেমার রিভিউ রেকর্ড করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমাকে ওষুধ খেয়ে দুই-তিন ঘণ্টা ঘুমাতে দিন। আশা করি ঘুমানোর পর আমার মাথা ও মন আবার কাজ করা শুরু করবে।’
এদিকে, ‘দেশদ্রোহী’খ্যাত নায়ক ও প্রযোজক কামাল রশিদ খান প্রায়ই নানা সিনেমার নেতিবাচক রিভিউ দিয়ে বলিউড তারকাদের অপ্রিয় পাত্রে পরিণত হয়েছেন। তার অনেক মন্তব্য ও কার্যকলাপ ‘পাগলামি’ বলেও মনে করেন অনেকে। তাই সালমান খানের এই মামলার বিষয়টি কতটুকু সত্যি সে নিয়েও অনেকে সন্দিহান।