Image default
বিনোদন

হিজাব বিতর্ক: অভিনেতা চেতন গ্রেপ্তার

হিজাব বিতর্কে ভারতের কর্ণাটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিনেতা চেতন কুমারকে। স্কুল-কলেজে মুসলিম কিশোরী এবং তরুণীদের হিজাব পরা বন্ধের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি করছেন বিচারক কৃষ্ণ দীক্ষিত। তার আদালতে এই শুনানির সমালোচনা করে টুইট করেছিলেন অভিনেতা কৃষ্ণ। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন, কেন এই বিচারককে বিতর্কিত বিষয়ের শুনানি করতে দেয়া হয়েছে। কারণ, অতীতে ওই বিচারক ‘হতাশাজনক মন্তব্য’ (ডিস্টার্বিং কমেন্ট) করেছিলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এর আগে ২০২০ সালে একজন নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। তখন ওই নারীর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারক কৃষ্ণ দীক্ষিত।

তা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ায় পরে বিচারকের ওই মন্তব্য মুছে ফেলা হয়। এমন মন্তব্যকে পশ্চাৎমুখিতা বলে বর্ণনা করা হয়। ওদিকে চেতন কুমারকে গ্রেপ্তারে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পুলিশের উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
চেতন কুমার একজন ফুলব্রাইট স্কলার এবং মার্কিন নাগরিক। একই সঙ্গে তিনি দলিত শ্রেণির একজন অধিকারকর্মী। তিনি কর্ণাটকে ডানপন্থি বিরোধী বেশ কিছু প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। সমালোচকরা বলেন, চেতন কুমার তার সামাজিক কর্মকা-ের জন্য মাঝে মধ্যেই টার্গেট হয়ে থাকেন। ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বক্তব্যের জন্য এরই মধ্যে পুলিশের দুটি অভিযোগ মোকাবিলা করছেন তিনি।
১৬ই ফেব্রুয়ারি একটি ধর্ষণ মামলার উদ্ধৃতি দেন তার টুইটে। এই মামলায় ধর্ষিতার বিবৃতিতে কিছুটা জটিলতা দেখে বিচারক কৃষ্ণ দীক্ষিত ধর্ষণে অভিযুক্তদের আগাম জামিন দিয়েছিলেন। রায়ে বিচারক ২০২০ সালে বলেছিলেন, ওই নারী যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে তিনি বলেছেনÑ ঘটনার পর তিনি ক্লান্ত হয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। এটা ভারতীয় নারীদের জন্য অশোভন। এমন নির্যাতনের শিকার হলে আমাদের নারীরা যেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে থাকেন, এই নারী তা করেননি।
বিচারকের এই মন্তব্যের একটি স্ক্রিনশট নিয়ে চেতন কুমার লিখেছেন, একটি ধর্ষণ মামলায় বিচারক কৃষ্ণ দীক্ষিত এমন হতাশাজনক মন্তব্য করেছেন। এখন সেই একই বিচারক সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন সরকারি স্কুলে হিজাব পরা গ্রহণযোগ্য হবে কি না। এক্ষেত্রে তার কি স্বচ্ছতা আছে?
এ টুইটের পর ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। বলেছে, এর মাধ্যমে তিনি একটি শ্রেণি বা সম্প্রদায়েকে অপরাধ সংগঠনে উস্কানি দিচ্ছেন। শান্তি লঙ্ঘনে প্ররোচণা দেয়ার উদ্দেশেই এ কাজ করা হয়েছে। অভিনেতা চেতনকে আদালতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কখন, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সময় বা তারিখ ঘোষণা করেনি।
ওদিকে ফেসবুকে এক লাইভ-চ্যাটে চেতন কুমারের স্ত্রী মেঘনা বলেছেন, বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন অভিনেতা চেতন। তার গ্রেপ্তার সম্পর্কে কেউই আমাদের জানায়নি। তার ফোন বন্ধ। আমাদের দেহরক্ষীর ফোনও বন্ধ। চেতনকে গ্রেপ্তারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। তার মন্তব্যের জন্য কেন তাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়র সাংবাদিক দিলীপ মন্ডল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী আরেকজন পুলিশি ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

Related posts

বিবাহবিচ্ছেদ, নাকি ‘মির্জা মালিক শো’র প্রচারণা? 

News Desk

প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি প্রীতি জিনতার কাছে

News Desk

ঈদে আসছে প্রমা ইসলামের নতুন গান ‘দূরে সরে যাচ্ছো’

News Desk

Leave a Comment