Image default
বিনোদন

৩৫-এ বরুণ ধাওয়ান

প্রথম সিনেমাই যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে। কর্ণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ দিয়ে বলিউড দুনিয়ায় পা রাখা সেই তরুণের ঝুলিতে আজ একের পর এক হিট। কাজ করা হয়ে গিয়েছে রোহিত শেট্টি থেকে শুরু করে সুজিত সরকারের মতো পরিচালকদের সঙ্গেও। শুধু মাত্র চকোলেট হিরোই নয়, অন্য ধারার ছবি ‘অক্টোবর’, ‘সুই ধাগা’ বা তারও আগে ‘বদলাপুর’-এও বেশ অন্যরকম চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাকে।

বলিউড বাদশা শাহরুখ খান তার সম্বন্ধে বলেছিলেন, নিজের দেখা সবচেয়ে পরিশ্রমী আর নিষ্ঠাবান অভিনেতা। অনিল কাপূরের মতে, ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ থেকে আজ পর্যন্ত অভিনেতা হিসেবে তার বেড়ে ওঠা অবিশ্বাস্য। সালমান খান তো ‘জুড়ুয়া’ ছবির সিক্যুয়েলে অন্য কাউকে ভাবতেই পারেননি।

bdhaowan
ছবি: static-ai.asianetnews.com

এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কার সম্বন্ধে বলা হচ্ছে? সত্যিই হিন্দি ছবিতে পরের প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে বাকিদের পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন বলিউডের প্রথিতযশা পরিচালক ডেভিড ধাওয়ান পুত্র- বরুণ ধাওয়ান। ডেবিউ ছবি ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’-এর পর বরুণকে কেউ তেমন প্রতিশ্রুতিবান বলে মনে করেননি। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন বরুণ। আজ (২৪ এপ্রিল) তার জন্মদিন। ৩৪ বছর পুর্ন করলেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা, চৌত্রিশ বছর বয়স হতে না হতেই সব ঘরানার ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি।

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী ১৯৮৭ সালের ২৪ এপ্রিল এক পাঞ্জাবি পরিবারে বরুণ ধাওয়ানের জন্ম। তার বাবা বলিউডের চলচ্চিত্র পরিচালক ডেভিড ধাওয়ান ও মা করুণা ধাওয়ান। বরুণের বড় ভাই রোহিত ধাওয়ানও একজন চিত্র পরিচালক। যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে ডিগ্রি অর্জনের পর অভিনেতা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার আগে ২০১০ সালে করণ জোহর পরিচালিত ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবিতে সহকারী পরিচালকের কাজ করেছিলেন বরুণ।

জানা যায়, বরুণ ধাওয়ানের নাকি অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না! এমন কি তার বাবা ডেভিড ধাওয়ানও ভাবেননি যে, বরুণ কোনও দিন সিনেমা জগতে পা রাখবেন বা নাম করবেন! কিন্তু ‘হাম্পটি শর্মা কী দুলহনিয়া’র মতো কমেডিতে যতটা স্বচ্ছন্দ, ততটাই ‘বদলাপুর’-এর মতো রিভেঞ্জ ড্রামায়। ‘এবিসিডি টু’তে আবার দেখিয়ে দিয়েছেন, নাচেও তিনি কম যান না।

bdhaowan
ছবি: news18.com

২০১২ সালে করণ জোহরের রোম্যান্টিক কমেডি ছবি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’-এ বরুণ ধাওয়ান প্রথম অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই ছবিতে অভিনয় করার জন্য তিনি বেস্ট মেল ডেব্যু বিভাগে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন। তার অভিনীত ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’ এবং ‘এবিসিডি ২’ দুটি ছবিই বিশ্বব্যাপী বেশ বড় অঙ্কের ব্যবসা করেছিল।

২০১২ সালে ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ দিয়ে যাত্রা শুরু করে একে একে তিনি অভিনয় করেন ‘ম্যায় তেরা হিরো’ (২০১৪), ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’ (২০১৪), ‘বদলাপুর’ (২০১৫), ‘এবিসিডি ২’ (২০১৫), ‘দিলওয়ালে’ (২০১৫), ‘ডিশুম’ (২০১৬), ‘বদ্রীনাথ কি দুলহানিয়া’ (২০১৭), ‘জুড়ওয়া ২’ (২০১৭), ‘অক্টোবর’ (২০১৮), ‘সুই ধাগা:মেড ইন ইন্ডিয়া’ (২০১৮), ‘কলঙ্ক’ (২০১৯) এবং ‘স্ট্রিট ড্যান্সার’ (২০২০)। এছাড়াও ‘ভারত’ ছবিতে তার ‘ধীরুভাই অম্বানী’ চরিত্রে তার বিশেষ উপস্থিতি ছিল।

বরুণ ধাওয়ান
ছবি: akm-img-a-in.tosshub.com

২০১৫ সালে পরিচালক শ্রীরাম রাঘবনের ক্রাইম থ্রিলার ‘বদলাপুর’ ছবিতে বরুণ ধাওয়ানকে এমন এক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়, যে ১৫ বছর পর তার স্ত্রী ও পুত্রের খুনের বদলা নেয়। এই চরিত্রটিতে অভিনয় বরুণ ধাওয়ানের কাছে ছিল এক ‘ভীতিপ্রদ’ অভিজ্ঞতা। তিনি এই ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে এক সময় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন এবং অভিনয়ের ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেন। রিডিফ.কম-এর রাজা সেন বরুণের অভিনয় প্রতিভার প্রশংসা করে লেখেন যে, তিনি ‘তার সরল সৌন্দর্যকে ঢেকে দিয়েছেন – কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে তার খানিক দুর্ভাগ্যগ্রস্থ প্রকৃতিগত ভালো-লাগানোটিকে ঢাকেননি – তিনি আগ্নেয়গিরির মতো জ্বলে উঠেছেন, প্রায়শ চোখ দিয়েই তিনি কথা বলেছেন।’ এই ছবিতে অভিনয় করে তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট অ্যাক্টর বিভাগে মনোনয়ন পান।

Related posts

এফডিসিতে অভিনয়শিল্পী ও সাংবাদিক–ইউটিউবারদের মারামারি

News Desk

ঈদে এটিএন বাংলায় ড. মাহফুজুর রহমানের একক ও দ্বৈত গানের সংগীতানুষ্ঠান 

News Desk

বাগদান শেষে চমক বললেন জীবন খুব অপ্রত্যাশিত

News Desk

Leave a Comment