পার্ল হারবার! নামটি শুনলেই ইতিহাসপ্রেমী মানুষরা খানিকটা শিউরে উঠবেন। চোখ বুজে কল্পনায় একটা যুদ্ধক্ষেত্র দেখতে পাবেন। কল্পনায় শুনতে পাবেন যুদ্ধ বিমানের কান ফাটানো সাইরেন! ক্ষণেক্ষনে চোখের সামনে ভেসে উঠবে আগুনে জ্বলসে যাওয়া একটা দ্বীপের ছবি। সিনেমাপ্রেমীরাও এই নামটির সাথে পরিচিত। পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত নির্মাণ হওয়া যতো সিনেমা রয়েছে তার মধ্যে এই ঘটনাকে উপজীব্য করে বানানো “পার্ল হারবার” নামক সিনেমাটিতেই ব্যবহার করা হয়েছে সবচাইতে বেশি পরিমান বিস্ফোরক দ্রব্য! কিন্তু কেন? পার্ল হারবার নামটির সাথে এতো এতো কঠিন উপমা কেন? জানতে হলে পিছন ফিরে তাকাতে হবে অনেকটা।
কোথায় অবস্থিত এই পার্ল হার্বার?
উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় নৌ-ঘাঁটি এই পার্ল হারবার।১৯০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নৌ-ঘাঁটি স্থাপন করে। পরবর্তীতে ১৯৩৯ সালের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট ক্যালিফোর্নিয়া থেকে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের পার্ল হার্বার এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান নৌ-ঘাঁটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন।
প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি ছিল এটি। সামরিক কৌশলগত দিক দিয়েও এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক এলাকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ২,০০০ মাইল এবং জাপান থেকে প্রায় ৪,০০০ মাইল দূরে অবস্থিত ছিল পার্ল হার্বারের মূল নৌ-ঘাঁটিটি।
কতটা শক্তিশালী ছিল এই পার্ল হারবার
এই মার্কিন নৌ-ঘাঁটিতে ছিল ৯৪টি যুদ্ধ সহায়ক জাহাজ, যার মধ্যে ৯টি ব্যাটলশিপ, ৮টি ক্রুজার, ২৯টি ডেস্ট্রয়ার, ৫টি ডুবোজাহাজ, ৮টি মাইন প্ল্যান্টার ও ১০টি মাইন সুইপার। পাল হার্বারের বিমান বাহিনীতে ছিল ৩৯৪টি যুদ্ধ বিমান আর বিমান বিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ছিল ২৯৪টি বিমান বিধ্বংসী কামান। ফলে তখন থেকেই এটি জাপান সাম্রাজ্যের জন্য এক ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
নৌ-ঘাঁটিটি দুর্গবেষ্টিত ছিল। তা এতই সুরক্ষিত ছিল যে, দুর্গের অভ্যন্তরে যুদ্ধজাহাজের বন্দুকের গুলি, বোমাবর্ষণেও ৪০ সে.মি. প্রস্থের স্থাপনকৃত দেয়াল ভেদ করা ছিল এককথায় অসম্ভব। সেখানে কোনো পতিত জমি না রাখায় প্রতিপক্ষের নৌবাহিনীর গোলাবর্ষণ করে সাফল্য লাভ করাও ছিল অসম্ভবের মতোই।
জাপান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বের ইতিহাস
পার্ল হারবার আক্রমণ অতর্কিত হলেও জাপান আর যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু বহু আগে থেকেই একে অপরের উপর যুদ্ধাংদেহী মনোভাবী ছিলো। তখন জাপানি সরকার বিশ্বাস করত, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের একমাত্র পন্থা হচ্ছে চীনের বিভিন্ন অঞ্চল দখলে নিয়ে বাণিজ্য ঘাটিতে পরিণত করা। এর ফলসবরূপ ১৯৩৭ সালে জাপান সরকার চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। চীনের নানকিং শহরে গণহত্যা চালিয়ে তারা লাখখানেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। চীনের প্রতি জাপানের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী মনোভাবকে যুক্তরাষ্ট্র কিছুতেই ভালোভাবে নেয়নি।
আমেরিকান কর্মকর্তারা চীনের উপর জাপানের এই অন্যায় আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে জাপানের উপর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারা ভেবেছিলো তেল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ বন্ধ করে দিলে জাপানিরা তাদের সম্প্রসারণ নীতি স্থগিত করতে পারে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা জাপানিদেরকে আরো তৎপর করে তুলল। টোকিও এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা ব্যর্থ হলো। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ তখন প্রায় অবশ্যম্ভাবী।
কি ঘটেছিলো সেদিন?
সাল ১৯৪১। ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখ, রবিবার। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের পার্ল হারবারের সৈন্যদের জন্য সেদিন কোনো যুদ্ধ প্রস্তুতির দিন ছিলোনা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গা এলিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলো তারা। কেউই জানতোনা আর খানিককাল পরেই ঘটে যাবে ইতিহাসের অন্যতম জঘন্য হৃদয়বিদারক আক্রমনের ঘটনা, আর কিছুক্ষন বাদেই ঘোষনা ছাড়াই বেজে উঠবে যুদ্ধের দামামা।
৩৫৩টি জাপানী যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান, টর্পেডো বিমানকে একযোগে আক্রমনের নির্দেশ দেয়া হয়। জাপানী নেভির প্রধান সেনাপতি এডমিরাল এসোরোকু ইয়ামামোতো এর পরিকল্পনা অনুযায়ী ছয়টি বিমানবাহিনী জাহাজ থেকে চালানো হয় এই আকস্মিক আক্রমন। আক্রমনের আকস্মিকতায় শুরুতেই হতভম্ব হয়ে পড়ে মার্কিন সেনারা। পাল্টা আক্রমনের জন্য নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার আগেই ডুবে যায় তাদের চার চারটি যুদ্ধজাহাজ। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাকি চারটি।
জাপানীদের এমন বুদ্ধিদীপ্ত আকস্মিক হামলায় মার্কিনদের ১৮৮টি বিমান ধ্বংস হয়ে যায় পুরোপুরিভাবে। আক্রমনটি মার্কিনদের অহমিকায় গভীর দাগ কেটে যায়। পার্ল হারবার আক্রমনের পরের দিনই আমেরিকা প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষনা করে জাপানের বিরুদ্ধে।
ক্ষয়ক্ষতি
অপ্রস্তুত মার্কিন বাহিনীর ওপর জাপানীদের পরিকল্পিত আক্রমনে মার্কিনরাই যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেটা বলাই বাহুল্য। পার্ল হারবারে সেদিনের আক্রমণে ক্ষণিকেই নিভে যায় ২৪০২জন মার্কিনীর জীবন প্রদীপ। এদের মধ্যে ৫৭ জন ছিলো বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া আহত হয় আরও ১২৪৭ জন মার্কিন নাগরিক।
চারটি যুদ্ধ জাহাজ, ১৮৮ টি বিমান ছাড়াও সেদিন আরো ধ্বংস হয় তিনটি ক্রুইজার, দুইটি ডেস্ট্রোয়ার এবং একটি সাধারন জাহাজ। অপরদিকে মার্কিনদের ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় জাপানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ছিলো যৎসামান্য। চারটি ছোট ডুবোজাহাজ এবং ২৯ টি বিমান ধ্বংস হয় তাদের। এবং ৬৪টি জন জাপানি সেনার মৃত্যু হয়।
বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতির হিসেব আলাদা করে রেখে মানসিক ক্ষতির হিসেব কষলে দেখা যায় সেদিন মার্কিনদের মনোবলকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে জাপান। নিজেরা লুটে নিয়েছে যুদ্ধ জয়ের প্রশান্তি।
আক্রমনের কারণ
পার্ল হারবার আক্রমনের অন্যতম কারণ ছিলো আধিপত্য বিস্তার। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৩০ সালে যখন ইউরোপ এবং এশিয়া মহাদেশের ওপর অর্থনৈতিক মন্দার থাবা পড়ে, ঠিক তখনই জাপান এই মন্দা থেকে বেঁচে উঠতে নিজেদের আধিপত্য প্রসারের ফন্দি আঁটে। সে সময়ে ভীষন রকম হিংস্র হয়ে ওঠে জাপান নামের বর্তমান এই শান্তশিষ্ট দেশটি। ১৯৩১ সালে মাঞ্চুরিয়া আক্রমনের মাধ্যমে জাপান তাদের আধিপত্য বিস্তারের রাস্তা বানানো শুরু করে। এরপর ১৯৩৭ সালে জাপান চীনের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করে। জাপানীদের এমন হিংস্র মনোভাবের কারণে আমেরিকার সাথে তাদের মতবিরোধ হয়, আমেরিকা সম্পর্ক ছিন্ন করে তাদের সাথে। আর সাথে নানা রকম অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে জাপানের উপর। এমন নানা দ্বেষ-বিদ্বেষের মাধ্যমে জাপান ফুসে ওঠে মার্কিনদের প্রতি। ফলশ্রুতিতে আক্রমণাত্মক জাপান বাহিনী পার্ল হারবার আক্রমনের মাধ্যমে কেড়ে নেয় ২৪০২ টি মার্কিন প্রাণ।
এছাড়াও মার্কিনদের সুসজ্জিত যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনেরও ইচ্ছা ছিলো জাপানীদের। তারা ভেবেছিলো পার্ল হারবার আক্রমনের ফলে তাদের সামরিক অবস্থান আরো মজবুত হবে, পর্যাপ্ত সময় পাবে নৌ শক্তি বাড়িয়ে নেয়ার।
সর্বোপরি, পূর্ব শত্রুতার রেষ ধরে মার্কিনবাহিনীদের নিকট নিজেদের ক্ষমতা দেখানো, আধিপত্য বিস্তার করা এবং মার্কিন বাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে দেওয়াই ছিলো পার্ল হারবার আক্রমনের মূল উদ্দেশ্য।
ফলাফল
পার্ল হারবার আক্রমনের ফলে জাপানীরা তাদের অর্জনের ঝুলিতে একটি তাৎক্ষনিক বিজয় তুলে নিলেও পরবর্তীতে এর প্রতিদান হিসেবে কড়া মাশুল গুনতে হয়েছে তাদের। ১৯৪১ সালের পার্ল হারবার আক্রমনের আগে পর্যন্ত ২য় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে উদাসীন ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এই হামলার পর তারা সরাসরি ২য় বিশ্ব যুদ্ধে যোগ দেয়। সাময়িকভাবে জয়লাভ করা জাপানীরা কল্পনাও করেনি এই আক্রমনের মাধ্যমে তারা মার্কিনদের মনে যে বিষবৃক্ষ রোপন করেছে তার শিকড় কতোটা সুদূরপ্রসারী হতে পারে।
নিজদের এলাকায় জাপানের আক্রমণের ক্ষত ধীরেধীরে ক্ষোভে রুপান্তরিত হয় মার্কিন বাহিনীর মনে। এই ক্ষোভের তাড়নায় ১৯৪৫ সালের ৬ এবং ৯ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকির বুকে তারা গেঁথে দেয় বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী দুটি পারমানবিক বোমা। নিমিষেই প্রাণ হারায় প্রায় দুই লাখ চৌদ্দ হাজার জন মানুষ। যাদের অধিকাংশই ছিল বেসামরিক, যাদের বেশিরভাগেরই প্রার্থনাতে যুদ্ধ থাকতোনা, থাকতো শান্তি।
পার্ল হারবার আক্রমণে য পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিলো
পার্ল হারবার আক্রমণে ক্ষতিও নেহাত কম নয়। এই আক্রমণে অধিকাংশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস হয়ে সমুদ্রে ডুবে যায়। অকেজো হয়ে যায় ৯টি মার্কিন ব্যাটলশিপের মধ্যে ৮টি, ৬টি ক্রুজার, ১টি ডেস্ট্রয়ার এবং অনেকগুলো ছোট ছোট জাহাজ। বিধ্বস্ত হয় ২৭২টি মার্কিন বিমান। এই আক্রমণে প্রায় আড়াই হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়, আহত হয় আরো এক হাজারেরও অধিক। হতাহতের মধ্যে মার্কিন সৈন্যরা যেমন ছিল, তেমনি ছিল হাওয়াই দ্বীপুঞ্জের বেসামরিক জনগণও। সকাল দশটার মধ্যেই জাপান এই আক্রমণ শেষ করে ফিরে আসে নিজের গন্তব্যে। যুদ্ধে জাপানের তেমন উল্লেখযোগ্য ক্ষতি না হলেও ৬০টির মতো জাপানী বিমান ধ্বংস হয়েছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর দেওয়া এক তথ্য হতে জানা যায়।
আক্রমণ পরবর্তী ঘটনা
পার্ল হার্বার আক্রমণের কয়েক ঘণ্টা পর জাপানের সম্রাট হিরোহিতো আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকা ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ৮ ডিসেম্বর ১৯৪১ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট কংগ্রেসের উভয় পরিষদের সম্মিলিত বৈঠকে একটি বক্তব্য দেন।সেদিনের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের সভা থেকে জাপানের বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর কিছু পরেই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র যুক্তরাজ্যও জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এর মধ্য দিয়ে রচিত হয় রক্তপাতে পরিপূর্ণ ইতিহাসের আরেকটি যুদ্ধময় অধ্যায়।সৃষ্টি হয় হিরোশিমা ও নাগাসাকি ট্রাজেডি !
লেখার শুরুতে মুভির কথা দিয়ে শুরু করেছি তাই শেষটাও তাই দিয়েই হোক। পার্ল হারবার আক্রমনের কাহিনীকে পূঁজি করে ২০০১ এক সালে বিখ্যাত মার্কিন পরিচালক মাইকেল বে নির্মান করেন একই নামের একটি ফ্যান্টাসি মুভি! সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাকে ফ্যান্টাসি মুভি বলাতে খানিকটা অন্যরকম লাগছে, তাইতো? আসলে সত্যি এটাই। সিনেমাটিতে ইতিহাস বিকৃতিকে একপ্রকার শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন পরিচালক সাহেব। আসল ঘটনা থেকে সরে এসে প্রেম ভালোবাসা ঢুকিয়ে একপ্রকার জগাখিচুড়ি তৈরী করেছেন তিনি। অবশ্য এর জন্য মাশুল ও দিয়েছেন তখন। সিনেমাবোদ্ধাদের একরাশ কটু কথা হজম করতে হয়েছে নির্বিকারভাবে।
সর্বোপরি পার্ল হারবার আক্রমন ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। ইতিহাস কখনোই চায়না তার বুকে এতো রক্তারক্তি হোক, খুনোখুনি হোক, ধ্বংসযজ্ঞ চলুক। তবুও তাকে বুক পেতে নিতে হয় উষ্ণ রক্তের অনুভূতি। প্রতিটি যুদ্ধেই প্রাণ যায় হাজারো লাখো মানুষের। সবাই চায় পৃথিবীর বুকে প্রতিটা দিন নি:সংকোচে কাটাবে, কখনোই যুদ্ধের দামামা বাজবেনা। আচমকা যমদূতের মতো একটা দুটো বোমা খসে পড়ে নিমিষেই নিয়ে যাবেনা লাখো মানুষের প্রাণ! পৃথিবীর বুকে কোনো যুদ্ধবিমান সাইরেন বাজিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করে উড়ে বেড়াবেনা আর। উড়বে শুধু শান্তির শফেদ পতাকা।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ, উইকিপিডিয়া