Image default
ইতিহাস

পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট আন্তর্জাতিক সেতু

স্পেনের সীমান্তবর্তী ছোট্ট গ্রাম এল মার্কো । এর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট্ট নদী আরিও আবরিলংগো। নদীটি পার হলেই পর্তুগালের ছোট্ট গ্রাম ভারখেয়া গ্রানদে। বেশিরভাগ সময় নদীর পানি কম থাকলে লাফ দিয়েই পার হওয়া যায় এক দেশ থেকে আরেক দেশে। তবে পানি বেশি হলে পার হতে হয় ছোট্ট একটি সেতু। এল মার্কো ব্রিজ নামে পরিচিত এই সেতুটিই পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট আন্তর্জাতিক সেতু। আজ আমরা এই ছোট্ট সেতুটির গল্পই শুনব।

জাতিরাষ্ট্রের সীমানা গড়ে ওঠার অনেক আগ থেকেই একসাথে দিন কাটাতো স্পেন ও পর্তুগালের এই দুই গ্রামের মানুষ। তাদের মধ্যে যাতায়াতও চলতো হরদম। এমনকি এল মার্কোর স্কুলে পর্তুগিজ ভাষা শেখানো হয়। দুই গ্রামের মধ্যে ব্যবসা চলে নিয়মিত। পর্তুগীজরা বিক্রি করে কফি, তোয়ালে। আর স্পেনের মানুষ বিক্রি করে চাকু, ওয়াইন।

পারস্পরিক এই যোগাযোগ ও ব্যবসাবাণিজ্যের কাজে সীমান্ত পেরোনোর জন্য তারা নদীর ওপর নানা সময়ে তৈরি করেছে অস্থানী সেতু। সেটি আরো পাকাপাকি রূপ দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয় এই শতকের গোড়ার দিকে। সেই ভাবনা থেকেই ২০০৮ সালে এই নদীর ওপর কাঠের কাঠের তৈরি শক্ত ও স্থায়ী একটি সেতু নির্মান করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এটির দৈর্ঘ্য মাত্র দশ ফুট চার ইঞ্চি। এর উপর দিয়ে কোন গাড়ি চলে না। শুধু হেঁটে বা সাইকেলে যাতায়াত করা যায়। মজার ব্যাপার: সবচে ছোট আন্তর্জাতিক সেতু হিসেবে এখনো খুব বেশি পরিচিতি পায়নি স্পেন-পর্তুগালের এই সেতুটি। অনেকেই মনে করে, আমেরিকা ও কানাডা সীমান্তে থাকা জাভিকন দ্বীপের সেতুটিই সবচেয়ে ছোট আন্তর্জাতিক সেতু। কিন্তু আসলে সেটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ ফুট। ফলে এল মার্কোই যে পৃথিবীর সবচে ছোট আন্তর্জাতিক সেতু, তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

Related posts

উচ্চ শিক্ষার সেরা হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়

News Desk

কৃষির ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে কৃষি জাদুঘর

News Desk

ইহুদী জাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও তাদের ধর্ম বিশ্বাস

News Desk

Leave a Comment