আমরা প্রায় সবাই লাহর প্রস্তাবের নাম শুনেছি এবং বইতে এ সম্পর্কে পড়েছি। মনে আছে, সেই লাহর প্রস্তাব কী? ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের সাথে বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশেরও একটি সম্পর্ক আছে। কারণ সেই লাহোর প্রস্তাবের সাথে মিশে ছিল পূর্ববঙ্গ অঞ্চল। আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরির বীজটা লুকিয়ে ছিল সেই ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবে। প্রথমেই জেনে নিই, লাহোর প্রস্তাব কী?
লাহোর প্রস্তাব কী?
লাহোর প্রস্তাব বা পাকিস্তান প্রস্তাব, যাকে পাকিস্তানের স্বাধীনতার ঘোষণাও বলা হয়, তা হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসকারী মুসলিমদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবী জানিয়ে উত্থাপিত প্রস্তাবনা। ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলীম লীগের অধিবেশনে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এর সভাপতিত্বে মুসলিম লীগের পক্ষ হতে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের প্রারম্ভিক খসড়া তৈরি করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সিকান্দার হায়াত খান যা আলোচনা ও সংশোধনের জন্য নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সাবজেক্ট কমিটি সমীপে পেশ করা হয়। সাবজেক্ট কমিটি এ প্রস্তাবটিতে আমূল সংশোধন আনয়নের পর ২৩ মার্চ সাধারণ অধিবেশনে মুসলিম লীগের পক্ষ হতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবুল কাশেম ফজলুল হক সেটি উপস্থাপন করেন এবং চৌধুরী খালিকুজ্জামান ও অন্যান্য মুসলিম নেতৃবৃন্দ তা সমর্থন করেন। মূল প্রস্তাবটি ছিল উর্দু ভাষায়। এই লাহোর প্রস্তাব পেশ করেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। এই সম্মেলনে ফজলুল হককে “শেরে বাংলা” উপাধি দেয়া হয়।
লাহোর প্রস্তাবের প্রেক্ষাপট
লাহোর প্রস্তাব আসলে একদিনে আসেনি। এই প্রস্তাব তৈরি হওয়ার পেছনে অনেক বড় বড় কারণ ছিল। যেমনঃ যখন ভারতে ব্রিটিশ শাসন অবসান করার পেছনে প্রথমে একটি দল প্রতিষ্ঠিত হয় । সেই দলটি হলো কংগ্রেস। কংগ্রেসে তখন হিন্দু, মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠী একসাথে যোগ দিতে থাকে। কিন্তু অন্যান্য ধর্মীয় দলের চাইতে এই দলে হিন্দুদের প্রাধান্য বেশি। পুরো ভারতের সব ধর্মীয় দল মিলে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকলেও কংগ্রেস প্রতিষ্ঠাকাল থেকে হিন্দুরা নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে এই দলের ভেতর হিন্দুদের প্রভাব একটু বেশি ছিলো। কংগ্রেসে অন্য কোনো ধর্মীয় দলের প্রভাব খুব একটা বেশি ছিল না। এই পরিস্থিতি দেখে তখন স্যার সৈয়দ আহমেদ বলেন, ভারতে দুটি ভিন্ন জাতি বসবাস করে। কংগ্রেসে তখন একটি হিন্দু প্রভাবিত দল হওয়ায় তিনি কংগ্রেসে মুসলিমদের যোগ দিতে নিষেধ করেন। তার এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে মুসলমানরাও একটি রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। তার প্রেক্ষিতে ১৯০৬ সালে মুসলিমলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২৮ সালে জহরলাল নেহেরু একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেই রিপোর্টে দেখা যায়, ভারতের শুধু হিন্দুদের বিভিন্ন দাবির কথা উল্লেখ রয়েছে। সেখানে মুসলমানদের তেমন দাবি-দাওয়ার কথা উল্লেখই ছিল না। এই রিপোর্টের মাধ্যেমে মুসলমানরা বুঝতে পারল যে, হিন্দু-মুসলিম ঐক্য কখনোই সম্ভব না। কিন্তু এই ধারণা বাস্তবে ভুল ছিলো। তাদের মধ্যে ঐক্য আসতে দেরী হওয়ার কারণেই ভারতীয় উপমহাদেশ দীর্ঘদিন ব্রিটিশদের অধীনে পরাধীন ছিলো। নেহেরুর এর এই রিপোর্ট প্রকাশের পর আগা খান ভারতে উত্তর পশ্চিম ও পূর্ব ভারতে একাধিক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানান। তারপর ১৯৩০ সালে দার্শনিক কবি আল্লামা ইকবাল উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, সিন্ধু প্রদেশ, পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তানের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন।
১৯৩৩ সালে চৌধুরী রহমত আলী ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত নিয়ে একটি মুসলিম রাষ্ট্র ‘পাকিস্তান’ গঠনের প্রস্তাব পেশ করেন। ভারতের শাসনতান্ত্রিক ব্যাবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে ১৯৩০ থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত লন্ডনে তিনটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় ও রাজনৈতিক দল উপস্থিত ছিল। লন্ডনের সেই তিনটি বৈঠকে ‘ভারতের শাসন্ত্রিক ব্যাবস্থা’র কোন সমাধান বের করা সম্ভব হয় নি। সেই বৈঠকে মুসলিমলীগের বিভিন্ন দাবি মানার ক্ষেত্রে কংগ্রসের উদাসীন ভাব ফুটে উঠে। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে কংগ্রেস ৭ টি প্রদেশে একক ভাবে মন্ত্রীসভা গঠন করে। অন্যদিকে মুসলিমলীগ দুটি প্রদেশ বাংলা ও পাঞ্জাবের সম্বনয়ে মন্ত্রীসভা গঠন করেন। আবার কংগ্রেসকে মুসলিমলীগের সাথে একত্রীকরণ করে মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব জানানো হলে কংগ্রেস তা প্রত্যাখান করে। ভোটের পর কংগ্রেস তার নির্বাচিত এলাকায় তাদের পতাকা লাগায়। রাষ্ট্রভাষা হিসেবে হিন্দি কে প্রচলন করে এবং ‘বন্দে মাতারাম’ কে জাতীয় সংগীত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা করে। এত কিছুর পর মুসলিমলীগ দেখলো, মুসলিমদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আলাদা ভূখণ্ড দরকার।
এই চিন্তা তৈরি হওয়ার কিছুদিন পর ১৯৩৭ সালেই নেহেরু একটি মন্তব্য করে বলেন, ভারত উপমহাদেশের কেবল দুটি দলের অস্তিত্ব আছে। একটি দল কংগ্রেস অন্য দলটি হল ব্রিটিশ সরকার। এছাড়া বাকি যত দল আছে তা কংগ্রেসের অন্তর্ভুক্ত। তারপর নেহেরুর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ভারতের মুসলিম ভারতের তৃতীয় দল ও তাদের অস্তিত্ব আলাদা এবং তারা আলাদা জাতি। এই নির্বাচনের পর হিন্দু আর মুসলমানের ভেতর দাঙ্গা লেগে যায়। এমন পরিস্থিতিতে মুসলিমলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলমানদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লাহোরে মুসলিমলীগের একটি অধিবেশনের আয়োজন করেন। লাহোরে মুসলিমলীগের অধিবেশনে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ-এর নেতৃত্বে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ‘দ্বি-জাতি’ তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতে মুসলমানদের জন্য একাধিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পেশ করেন। এই প্রস্তাবটি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহেরর সভাপতিত্বে গৃহীত হয়। এই ‘দ্বি-জাতি’ তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এর লাহোর প্রস্তাবে মুসলমানরা স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। আর এই ঐতিহাসিক প্রস্তাবটিকে ‘লাহোর প্রস্তাব’ নামে অভিহিত করা হয়।
২৪ মার্চ প্রবল উৎসাহের মধ্য দিয়ে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। হিন্দু সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রসমূহ লাহোর প্রস্তাবকে ক্যামব্রিজে বসবাসরত দেশত্যাগী ভারতীয় মুসলমান চৌধুরী রহমত আলী কর্তৃক উদ্ভাবিত নকশা অনুযায়ী ‘পাকিস্তানের জন্য দাবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। ১৯৪০ সালের প্রস্তাবের কোথাও পাকিস্তানের উল্লেখ নেই এবং ‘স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের’ দাবি জানাতে গিয়ে লীগের মুখপাত্রগণ কি চাচ্ছেন সে সম্পর্কে মোটেও দ্ব্যর্থহীন ছিলেন না। হিন্দু সংবাদপত্রসমূহ মুসলিম নেতৃত্বকে একটি সুসামঞ্জস্য শ্লোগান সরবরাহ করে, যা অবিলম্বে তাঁদেরকে একটি রাষ্ট্রের ধারণা জ্ঞাপন করে। মুসলমান নেতাদের পক্ষে সাধারণ মুসলিম জনগণের নিকট লাহোর প্রস্তাবের ব্যাখ্যা প্রদান এবং এর প্রকৃত অর্থ ও গুরুত্ব হৃদয়ঙ্গম করাতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারত। হিন্দু সংবাদপত্রসমূহ কর্তৃক প্রস্তাবটিকে ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ হিসেবে নামকরণ হওয়াতে সাধারণ জনগণের মাঝে এর পূর্ণ গুরুত্ব জনে জনে প্রচার করার ব্যাপারে মুসলমান নেতৃবৃন্দের অনেক বছরের পরিশ্রম কমিয়ে দেয়। পাকিস্তানের ধারণাটির প্রতি জোর দেওয়ার মাধ্যমে হিন্দু সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্রসমূহ একজন আইনজীবীর অত্যধিক শব্দবহুল আচ্ছন্ন বর্ণনাকে উদাত্ত আহবানে পর্যবসিত করতে সাহায্য করে। ১৯৪১ সালের ১৫ এপ্রিল মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে লাহোর প্রস্তাবকে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের গঠনতন্ত্রে একটি মৌল বিষয় হিসেবে সন্নিবেশ করা হয়। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতা পর্যন্ত এটি লীগের প্রধান বিষয় ছিল।
প্রকৃতপক্ষে, ১৯৪০ সালের পরবর্তী সময় থেকে ভারতীয় স্বাধীনতার বিতর্কের প্রধান প্রসঙ্গ ছিল পাকিস্তান। ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করতে এবং স্বশাসনকে সহজতর করার সাহায্য কল্পে ১৯৪৬ সালের মার্চ মাসে যখন মন্ত্রী মিশন ভারতে পৌঁছে, তখন ৭ এপ্রিল দিল্লিতে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ তাদের ‘পাকিস্তান দাবি’র পূনরাবৃত্তি করতে মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্যদের তিন-দিনব্যাপী এক সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়। সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করতে মুসলিম লীগের ওয়ার্কিং কমিটি চৌধুরী খালিকুজ্জামান, হাসান ইস্পাহানি ও অন্যান্যদের সমন্বয়ে একটি উপ-কমিটি নিয়োগ করে। চৌধুরী খালিকুজ্জামান প্রস্তাবের একটি খসড়া তৈরি করেন। অন্যান্য সদস্যদের সাথে খসড়াটি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সামান্য পরিবর্তনের পর উপ-কমিটি এবং অতঃপর সাবজেক্ট কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়। ‘স্টেটস’ শব্দটিকে একবচন শব্দ ‘স্টেট’ এ পরিবর্তন করা হয়। এ পরিবর্তন মূল লাহোর প্রস্তাবের মৌলিক পরিবর্তন সাধন করে।
অন্তর্ভুক্ত বিষয়াবলী
এই প্রস্তাবনাটির মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ ছিলো –
প্রথমত : নিখিল ভারত মুসলিম লীগ দৃঢ়তার সাথে পুন:ঘোষণা করছে যে, ১৯৩৫ খ্রীস্টাব্দের ভারত শাসন আইন-এ যে যুক্তরাষ্ট্রের (Federal) পরিকল্পনা রয়েছে, তা এ দেশের উদ্ভূত অবস্থাুতপ্রেক্ষিতে অসঙ্গত ও অকার্যকর বিধায় তা ভারতীয় মুসলমানদের জন্য অগ্রহণযোগ্য।
দ্বিতীয়ত : সমস্ত সাংবিধানিক পরিকল্পনা নতুনভাবে বিবেচনা না করা হলে মুসলিম ভারত অসন্তুষ্ট হবে এবং মুসলমানদের অনুমোদন ও সম্মতি ব্যতিরেকে সংবিধান রচিত হলে কোন সংশোধিত পরিকল্পনা ও তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না।
তৃতীয়ত : নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সুচিন্তিত অভিমত এরূপ যে, ভারতে কোন শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা কার্যকর হবে না যদি তা নিম্নবর্ণিত মূলনীতির উপর ভিত্তি করে রচিত না হয় – ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী সংলগ্ন বা সন্নিহিত স্থানসমূহকে ‘অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে, প্রয়োজন অনুযায়ী সীমানা পরিবর্তন করে এমনভাবে গঠন করতে হবে যেখানে ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান এলাকাগুলো ‘স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ’ (Independent States) গঠন করতে পারে, ‘স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের’ সংশ্লিষ্ট অঙ্গরাষ্ট্র বা প্রদেশসমূহ হবে স্বায়ত্বশাসিত ও সার্বভৌম।
চতুর্থত : এ সমস্ত অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অন্যান্য অধিকার ও স্বার্থরক্ষার জন্য তাদের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে সংবিধানের কার্যকর ও বাধ্যতামূলক বিধান রাখতে হবে। ভারতবর্ষের মুসলমান জনগণ যেখানে সংখ্যালঘু সেখানে তাদের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথেও আলোচনা সাপেক্ষে সংবিধানে কার্যকর বিধান রাখতে হবে।
১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে জুলাই তারিখে জিন্নাহ তাঁর মালবারি পাহাড়ে অবস্থিত বাসভবনে বসে আবুল হাশিমকে লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে অভীষ্ট লক্ষ অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ভারত উপমহাদেশ বিভাজনের সূত্রে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভ ঘটে ১৪ই আগষ্ট। মুসলিম-প্রধান এলাকার সূত্রে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চল নিয়ে এই রাষ্ট্রটি গঠিত হয়। পশ্চিমের অংশের নাম হয় পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্বের অংশের নাম হয়− পূর্ব পাকিস্তান।
সূত্র : উইকিপিডিয়া, জীবন্ত জীবন