ইন্দোনেশিয়ার এক আবাসিক মাদ্রাসার মালিক তথা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৩ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। হেরি উইরাওয়ান নামে ওই ব্যক্তির নির্যাতনের ঘটনা দেশটির জনগণকে হতবাক করেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুক্তোভূগী শিক্ষার্থীরা ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী। হেরি উইরাওয়ান ২০১৬ সাল থেকে তাদে৪র ধর্ষণ করেছেন। এদের মধ্যে আটজন গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল। এমনকি তারা ৯টি সন্তানের জন্মও দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং জেলা আদালতের বিচারকদের একটি বেঞ্চ ৩৬ বছর বয়সী হেরি উইরাওয়ানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আদালত এই মাদ্রাসা মালককে রাসায়নিক প্রয়োগে নপুংসক করে দেওয়ার আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
গত বছরের মে মাসে শিক্ষার্থীদের ওপর বছরের পর বছর ধরে চলা নির্যাতনের বিষয়টি ধরা পড়ে। একজন ভুক্তভোগীর বাবা-মা তাদের সন্তান গর্ভবতী হওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ পায়।
ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, উইরাওয়ান দরিদ্র এলাকার শিক্ষার্থীদের বৃত্তি এবং অন্যান্য প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে তার মাদ্রাসায় পড়ার জন্য আকৃষ্ট করতেন। ভর্তি হওয়ার পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করতো। বছরে মাত্র একবার বাড়ি যেতে দিত।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার সরকার ভুক্তোভূগী শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে সাড়ে ৮ কোটি ইন্দোনেশীয় রুপিয়া (প্রায় ৬ হাজার ডলার) পর্যন্ত করে ক্ষতিপূরণ দেবে বলে জানিয়েছে।