চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের শীর্ষ কর্মকর্তা গাও ফু বলেছেন, তাদের দেশে উৎপাদিত করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কম। চীনের দুর্বলতা স্বীকারের এক বিরল ঘটনা এটি। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে গাও বলেন, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বাড়াতে একাধিক ভ্যাকসিন মিশ্রিত করার চিন্তা করছে চীন।
তবে এই মন্তব্যের পর গাও ফু বলেছেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
চীনে জনগণের ব্যবহারের জন্য করোনাভাইরাসের মোট চারটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যদিও দেশের বাইরে পরিচালিত কিছু ট্রায়ালে দেখা গেছে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৫০ শতাংশের চেয়ে কম।
চীনের এক কোটিরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের অন্তত এক ডোজ গ্রহণ করেছে। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভ্যাকসিন কার্যকর এবং যেসব বিদেশিরা চীনা ভ্যাকসিন নেবেন, কেবল তাদেরকেই ভিসা দেয়া হবে।
গাও ফু বলেন, ‘বর্তমান ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা খুব বেশি নয়।’
তিনি বলেন, কার্যকারিতা বাড়াতে চীন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনগুলো মিশ্রিত করার কথা চিন্তা করছে। ভ্যাকসিনের মিশ্রণ তৈরি প্রক্রিয়ায় ডোজের সংখ্যা ও সময় বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
তবে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া নিজের মন্তব্য পরে অস্বীকার করেছেন গাও। চীনের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সকল দেশেই সব ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার হার কখনো বেশি, কখনো কম।’
তিনি বলেন, চীনা ভ্যাকসিনের কম কার্যকারিতা নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা ‘সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি’।
তার মূল মন্তব্য ও পরবর্তী সময়ের মন্তব্য চীনের অনেক সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়নি।
দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে অনেকে লিখেছেন, তার কথা বলা ‘বন্ধ করা উচিত’।