Image default
আন্তর্জাতিক

ছেলের লাশ কাঁধে নিয়ে মাটরসাইকেলে ৯০ কিমি গেলেন বাবা

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের তিরুপতিতে এক হতভাগ্য বাবার আকুতি শোনেনি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। কোনো অবস্থাতেই তারা রাজি হননি ১০ হাজার রূপির নিচে কৃষক বাবার ছেলের লাশটি গন্তব্যে পৌঁছে দিতে। তাই বাধ্য হয়েই মোটরসাইকেলে করে ১০ বছর বয়সী ছেলের লাশ কাঁধে নিয়ে ৯০ কিলোমিটার দূরের গন্তব্যে রওনা হন শোকস্তব্ধ হতদরিদ্র মানুষটা।

. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

এদিকে গত সোমবারের ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি দেখার পর রাজ্যটি জুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। এরইমধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তিরুপতি জেলা প্রশাসন। জানা গেছে, তিরুপতির সরকারি এসভিআরআর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল জেসাভা নামের ১০ বছর বয়সী একটি শিশু।

গত সোমবার রাতে সে কিডনি ও লিভার অকেজো হয়ে মারা যায়। গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির লাশ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করে। সন্তানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাবা প্রথমে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করেন। কিন্তু গাড়ি না পেয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে যান তিনি।

কিন্তু বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চিতভেলে যেতে ১০ হাজার রূপি দাবি করে। হতদরিদ্র কৃষক বাবা এত টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা আর যেতে রাজি হননি। তাই বাধ্য হয়েই একজন পরিচিত ব্যক্তির মোটরসাইলে ওঠেন তিনি। কাধে তুলে নেন ছেলের লাশ। এদিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। এর পরই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তিরুপতি জেলা প্রশাসন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Related posts

মিয়ানমারে সুইডিশ অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন, উদ্বেগ

News Desk

প্রেমিকের মারধরে অজ্ঞান প্রেমিকা

News Desk

ইউরোপে গরমে ১৫ হাজার মৃত্যু: ডব্লিউএইচও

News Desk

Leave a Comment