ইসরাইলি সেনা গাই হোচম্যান কাতার ছেড়ে পালিয়েছেন। টুইটারে তার পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তিনি গোপনে কাতার ছেড়ে পালিয়ে যান। এর আগে তিনি নিজেকে একজন কমেডিয়ান বা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
কাতার যাওয়ার আগে ফেসবুকে তিনি জানিয়েছিলেন, তার উদ্দেশ্য হচ্ছে কাতারে শান্তির বার্তা নিয়ে যাওয়া এবং ‘ফানি ভিডিও’ তৈরি করা।
মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সাংবাদিক সামার দাহমাশ-জারাহ টুইটারে গাই হোচম্যানের আসল পরিচয় ফাঁস করে দেন। তার আপলোড করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, হোচম্যান মূলত ইসরাইল সামরিক বাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দাহমাশ সিএনএনের কন্ট্রিবিউটর ছিলেন এবং টুইটারে এক লাখ ৭১ হাজার ফলোয়ার রয়েছে তার। তিনি হোচম্যানের আসল পরিচয় ফাঁস করে দিয়ে তাকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে বর্ণনা করেন। তার আপলোডের পর ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
দাহমাশ বলেন, হোচম্যান নিজেকে শান্তির দূত বলে পরিচয় দিচ্ছেন অথচ তিনি একজন খুনি। তিনি নাহাল ব্রিগেডের ৯৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ছিলেন।
এটি এমন একটি ইউনিট, যা প্রথম ও দ্বিতীয় ইন্তেফাদার সময় হাজারো ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছেন। গাজায় ইসরাইলের অভিযানের সময় এই ইউনিটের সদস্যরা ফিলিস্তিনিদের পরিবারসহ হত্যা করত।
কাতার বিশ্বকাপের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিক দাহমাশ বলেন, এই টুর্নামেন্টে ইসরাইলিদের আসল চেহারা এটিই।
ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, হোচম্যান কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন পুরো সময়ই সেখানে থাকবেন বলে গিয়েছিলেন। কিন্তু দাহমাশের ভিডিও আপলোডের পর তিনি দ্রুত কাতার ত্যাগ করেন এবং ইসরাইলে ফিরে যান।