২০২১-২২ অর্থবছরে পাকিস্তানে গাধার সংখ্যা ৫৭ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১ লাখ বেশি। এমন তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তান অর্থনৈতিক সমীক্ষা (পিইএস। খবর ডেইলি টাইমস।
সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, কয়েক বছর ধরে গাধার সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়ছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে গাধার সংখ্যা ছিল ৫৫ লাখ। পরে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ লাখ বেড়ে গাধার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৬ লাখে। পাকিস্তানের গরুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৩৪ লাখ, মহিষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৩৭ লাখে। ভেড়া ও ছাগলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ১৯ লাখ।. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
দেশটিতে ১১ লাখ উট আছে। ঘোড়া আছে চার লাখ। আর খচ্চর আছে দুই লাখ। তবে লক্ষণীয় বিষয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পর এই সংখ্যায় কোনো হেরফের হয়নি। ২০২১-২২ নাগাদ কৃষি খাতে পশুপালনের অবদান ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৪ শতাংশ। পশুপালন পাকিস্তানের গ্রামীণ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। গবাদিপশু পালনের সঙ্গে ৮০ লাখ গ্রামীণ পরিবার জড়িত। পশুপালন থেকে তাদের আয়ের ৩৫-৪০ শতাংশ আসে।
সর্বশেষ অর্থবছরে অর্থনীতিতে পশুপালনের অবদান ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ২৬৯ বিলিয়ন রুপি থেকে বেড়ে ৫ হাজার ৪৪১ বিলিয়ন রুপিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বিবৃতি অনুযায়ী, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যনিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে এই খাতে আবার জোর দিয়েছে সরকার।