কার পারমাণবিক অস্ত্র বেশি
সংখ্যার দিক দিয়ে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের দেওয়া হিসাব বলছে, মস্কোর হাতে বর্তমানে আনুমানিক ৫ হাজার ৯৭৭টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের এ অস্ত্র রয়েছে ৫ হাজার ৪২৮টি।
যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তাতে মজুত থাকা পারমাণবিক অস্ত্রের পাশাপাশি যেগুলোর মেয়াদ ফুরিয়েছে, সেগুলোও যুক্ত করা হয়েছে। তবে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মজুত করা পারমাণবিক অস্ত্র এত বেশি যে সেগুলো দিয়ে পুরো বিশ্ব কয়েকবার ধ্বংস করা যাবে। দেশ দুটির হাতে বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের ৯০ শতাংশ রয়েছে।
যেকোনো সময় হামলা চালানোর জন্য ১ হাজার ৪৫৮টি পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রেখেছে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র মোতায়েন রেখেছে ১ হাজার ৩৮৯টি। এই অস্ত্রগুলো যুক্ত রয়েছে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম), সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমারু বিমানে।
যে ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহৃত হতে পারে
রুশ ফেডারেশনের চেচনিয়া অঞ্চলের নেতা রমজান কাদিরভ সম্প্রতি বলেছেন, ইউক্রেনে তুলনামূলক কম ক্ষমতাসম্পন্ন কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে মস্কো। তাঁর ওই বক্তব্য অবশ্য আমলে নেয়নি রাশিয়া। এ নিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের প্রধানদের অধিকার রয়েছে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিগুলো তুলে ধরার। তবে এমন কঠিন মুহূর্তে তাঁদের এ ধরনের আবেগ এড়িয়ে চলা উচিত।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে স্বল্পপাল্লার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রগুলো তারা হুট করেই ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ, সেগুলো তাৎক্ষণিক হামলার জন্য প্রস্তুত নেই।