ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ সাবমেরিনে অক্সিজেন ফুরিয়ে আসার আশঙ্কা করছে উদ্ধারকারী দল। ২১ এপ্রিল বালি দ্বীপের উত্তরে মহড়ার সময় ৫৩ নাবিকসহ সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়। তিন দিনেও সাবমেরিনটি উদ্ধার না হওয়ায় নাবিকদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, সাগরের অনেক নিচে সাবমেরিনটি ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণে সেটি বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার অন্তত ছয়টি যুদ্ধজাহাজ, একটি হেলিকপ্টার ও ৪০০ মানুষ সাবমেরিনটি অনুসন্ধান করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সাবমেরিনটিতে অক্সিজেনের মজুত ফুরিয়ে গেছে বলে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
কেআরআই নানগালা-৪০২ নামের ওই সাবমেরিনের খোঁজে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি দেশ। সাবমেরিনটি হন্য হয়ে খুঁজছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। আজ শনিবার ভোরে প্রয়োজনীয় সহায়তা নিয়ে বালিতে নেমেছে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ। ফ্রান্স ও জার্মানিও সাবমেরিনটি অনুসন্ধান করতে সহায়তা পাঠাতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার এক সামরিক মুখপাত্র বলেন, নিখোঁজ সাবমেরিনে থাকা নাবিকদের প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকার মতো পর্যাপ্ত অক্সিজেন আছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটা পর্যন্ত অক্সিজেনের ঘাটতি হওয়ার কথা ছিল না তাঁদের। কিন্তু এ সময়সীমা পার হয়ে গেছে।
ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি সাবমেরিন রয়েছে। সেগুলোর একটি হচ্ছে কেআরআই নানগালা-৪০২। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, সত্তর দশকের দিকে এই সাবমেরিন তৈরি হয়। ২০১২ সালের আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই বছর ধরে এটি মেরামত করা হয়। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, এই প্রথম ইন্দোনেশিয়ার কোনো সাবমেরিন নিখোঁজের ঘটনা ঘটল।
তবে সাবমেরিন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়; ২০১৭ সালে আর্জেন্টিনার সেনাবাহিনীর একটি সাবমেরিন ৪৪ জন নাবিকসহ নিখোঁজ হয়। এক বছর পর এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। কর্মকর্তারা ওই সাবমেরিনে বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।