ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের পক্ষে আলাদাভাবে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাই, দু’দেশেরই ইস্যুটি নিয়ে অহেতুক কথার লড়াই বন্ধ করতে হবে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সফরে এসে এ কথা বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভোলকান বোজকির।
তিনি পাকিস্তানকে আহ্বান জানান, দেশটি যেন কাশ্মীর ইস্যুকে আরও গুরুত্ব দিয়ে জাতিসংঘে উত্থাপন করে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে তিন দিনের বিশেষ সফরের অংশ হিসেবে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ভোলকান বোজকির।
এছাড়া তিন দিনের এ সফরে বোজকির কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের ওপর জোর দেন।
২০১৯ সালের আগস্টে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। ফলে কাশ্মীর এতদিন যে বিশেষ অধিকার পেত, তা এর মাধ্যমে খারিজ হয়ে যায়। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যটিকে ভেঙে দুইটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। এর একটি হলো লাদাখ এবং অপরটি জম্মু-কাশ্মীর। অঞ্চলটির সার্বিক উন্নয়নের জন্যই ভারত এমন স্বীদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায়, নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার।
যদিও ভারতের এমন পদক্ষেপের ব্যাপক সমালোচনা করে আসছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের দাবি, ভারত সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা বেড়েছে। একই সঙ্গে উপত্যকাটিতে ভারত হত্যাসহ নানা অত্যাচার চালায় বলেও অভিযোগ করে আসছে পাকিস্তান।
জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকার শ্রীনগর ওই অঞ্চলের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী এবং জম্মু শীতকালীন রাজধানী। কাশ্মীর উপত্যকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। জম্মু অঞ্চলে অনেক হিন্দু মন্দির থাকায় এটি হিন্দুদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র।