শুক্রবার মহারাষ্ট্রে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে দধি ভাণ্ড খেলার আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
শুক্রবার সমস্ত মহারাষ্ট্র জুড়েই দারুণ ধুমধাম করে উদ্যাপন করা হয়েছে জন্মাষ্টমী। তারই অংশ হিসাবে খেলা হয় দধি ভাণ্ড। আর সেই দধি ভাণ্ডই ডেকে আনে বিপদ। এই খেলা খেলতে গিয়ে আহত হয়েছেন ১১১ জন গোবিন্দ। এর মধ্যে ২৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) মুম্বাই শহরে দারুণভাবে পালন করা হয় দধি ভাণ্ড প্রতিযোগিতা। এবারের প্রতিযোগিতার আকর্ষণও ছিল একটু বেশি। কারণ বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে রাজ্য বিধানসভায় ঘোষণা করেছেন যে, সরকার দধি ভাণ্ডকে দুঃসাহসিক খেলার মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ ‘অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস’ ট্যাগ পাওয়ার ফলে দধি ভাণ্ডতে যে সব তরুণ তরুণী অংশগ্রহণ করছেন, তাদের পক্ষে ক্রীড়া কোটার অধীনে সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করার দরজা খুলে গেছে। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের।
এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে আরও অনেক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার তরফে দধি ভাণ্ড প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের জন্য ৫৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। অবিনাশ যাদব জয়ীদের জন্য ১১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যে দল প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হবে, তারা স্পেন সফরেরও সুযোগ পাবেন।
তাই এবারের উৎসব নিয়ে প্রতিযোগীদের মধ্যে উত্তেজনা এবং আগ্রহ ছিল বেশি। এর মধ্যে কোথাও কোথাও ঘঠেছে দুর্ঘটনা। বিএমসির তথ্য অনুসারে, হাঁড়ি ভাঙার জন্য পিরামিড তৈরি করতে গিয়ে ১১১ জন গোবিন্দ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৮ জন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু ২৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জেজে হাসপাতালের চিকিৎসক পল্লবী সাপলে জানিয়েছেন, দুই রোগীকে আনা হয়েছে। একজনের পায়ে আঘাত লাগলেও অন্যজনের হাতে, বুকে ও পিঠে আঘাত লেগেছে। পরীক্ষা চলছে। অন্যান্য রোগীদের নায়ার, কেইএম, কুপার, পোদ্দার, কান্দিভলি আম্বেদকর, সায়ন, যোগেশ্বরী ট্রমা এবং অন্যান্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিএমসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভর্তি হওয়া রোগীদের অবস্থা স্থিতিশীল।
এনজে