করোনার (COVID-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর মধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আইআইটি কানপুরের তরফে জানানো হয়েছে এ বছর অক্টোবরে আসতে পারে করোনার এই তৃতীয় ঢেউ (Third Wave)। কানপুর আইআইটি (Kanpur IIT) একটি গাণিতিক সমীক্ষা করেছিল। তাতেই এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। সমীক্ষায় এও জানা গিয়েছে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি হবে করোনার প্রভাব।
তারপর পজিটিভ মামলার সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকবে। তারপর অক্টোবর মাসে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসবে।
কানপুর আইআইটির গাণিতিক সমীক্ষা এও বলছে, মহারাষ্ট্র এখন সংক্রমণের শীর্ষে অবস্থান করছে। এবার সেই রাজ্যে ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করবে। এছাড়া উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট ও পশ্চিমবঙ্গও করোনা আক্রান্তের হিসাবের নিরিখে সর্বোচ্চ সীমায় রয়েছে। এবার এই রাজ্যগুলিতেও আক্রান্তের সংখ্যা কমবে। কুম্ভ মেলা বা নির্বাচনের কারণেই কি করোনার এমন বাড়বাড়ন্ত? এই প্রশ্ন উত্তরে আইআইটির প্রফেসর মণীন্দ্র আগারওয়াল বলেছেন, মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে করোনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এই রাজ্যগুলিতে নির্বাচনী মিছিল বা কুম্ভ হয়নি। তাই এই সম্ভাবনার কথা চূড়ান্ত হিসেবে ধরা যায় না। আইআইটির সমীক্ষা অনসারে, উত্তর প্রদেশ উত্তর প্রদেশে দৈনিক ৩৫ হাজার, দিল্লিতে দৈনিক ৩০ হাজার, পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক ১১ হাজার, রাজস্থানে দৈনিক ১০ হাজার ও বিহারে দৈনিক ৫ হাজার আক্রান্ত হতে পারে। এই সংখ্যাকে রাজ্যগুলির আক্রান্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা হিসেবে ধরা হয়েছে।
মণীন্দ্র আগারওয়াল এমনও অনুমান করছেন জুলাইয়ের শেষের দিকে করোার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হয়ে যাবে। তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন অক্টোবরে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসবে। তবে তা কতটা ভয়াবহ হবে তা এখনই অনুমান করা যাচ্ছে না। তবে করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় আরও বাড়তে পারে। ১০ থেকে ১৫ মে-র মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমার আশা থাকলেও আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্য়ে আক্রান্তের সংখ্যা নাও কমতে পারে। অসম, ওড়িশা, পঞ্জাবের মতো রাজ্যে কবে আক্রান্ত সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে তা এখনও ধারণা করা যায়নি। সমীক্ষা বলছে, দিল্লি ও মধ্য প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চই রয়েছে। হরিয়ানা এগিয়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার একটাই মাত্র পথ। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে দেশের বেশিরভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে হবে।