সৌদি আরবে আন্দোলন ও প্রতিবাদ করার দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে মোস্তাফা হাশেম আল-দারউইশ নামের এক ব্যক্তির। বুধবার দেশটির দাম্মাম শহরে এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে জানায় সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০১৫ সালে মোস্তাফা হাশেমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ আনা হয়, তখন তার বয়স ছিল ১৮ বছরের নিচে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মোস্তাফা হাশেম ছিলেন শিয়া মতাবলম্বী।
১৭ বছর বয়সে অপরাধের জন্য মোস্তাফা হাশেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সামলোচনা করেছে সৌদি আরবের মানবাধিকারকর্মীরা। তাদের দাবি, এ ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে দেশটিতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান এখনও রয়েছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ১৮ বছরের নিচে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় না।
সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, গত বছর থেকে তারা অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধানটি বন্ধ রেখেছে। ১৮ বছরের কম বয়সী কেউ অপরাধ করলে তার বিচার হবে কিশোর আইনে, যেখানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মোস্তাফা হাশেমের চার্জশিট দেখে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হল, সশস্ত্র বিদ্রোহে অংশ নেওয়া, সৌদি আরবের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা এবং অন্যদের মধ্যে বিদ্রোহী মনোভাব ছড়িয়ে দেয়া। সবগুলো অভিযোগই হলো ২০১৫ সালের, যখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর।
২০১৯ সালে সৌদি আরবে ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যাদের মধ্যে ৩৪ জনই শিয়া মতাবলম্বী। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছিল। একই অভিযোগে ২০১৬ সালে ৪৭ জনকে দেয়া হয় মৃত্যুদণ্ড। এছাড়া চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সৌদি সরকার।