বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলে আসছে, করোনার অমিক্রন ধরনের কারণে সংক্রমণের মাত্রা মৃদু অথবা গুরুতর—দুটিই হতে পারে। এমনকি অমিক্রন সংক্রমণের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এমন অবস্থায় বিশ্ববাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার অমিক্রন ধরন থেকে সুরক্ষিত থাকতে গতকাল শনিবার এক টুইটার পোস্টে ছয়টি পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও। এগুলো হলো—টিকা নেওয়া, ভিড় এড়িয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, ভালোভাবে মাস্ক পরা, আবদ্ধ জনসমাগম স্থলগুলোতে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা, ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা।
করোনার অমিক্রন ধরনকে মৃদু ভাবার সুযোগ নেই বলে আবারও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলেছে, ‘এটি ডেলটার চেয়ে কম গুরুতর। কিন্তু আমরা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অমিক্রনে আক্রান্ত রোগীকেও হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখেছি। ইতিমধ্যেই আমরা বলেছি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে। এটি সাধারণ ঠান্ডার সমস্যা নয়, এটি ইনফ্লুয়েঞ্জাও নয়। সত্যিকার অর্থে আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে।’
গত মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষের।
একমাত্র পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন সংক্রমণ প্রায় ১৯ শতাংশ বাড়তে দেখা গেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে সাপ্তাহিক করোনা সংক্রমণ প্রায় ৩৭ শতাংশ কমতে দেখা গেছে। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। আর পশ্চিম মহাসাগরীয় অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে এক-তৃতীয়াংশ।
বিশ্বজুড়ে করোনা পরীক্ষার হার কমার কারণে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা কমে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।