অ্যাপোলো ১১ চন্দ্রাভিযানের নভোশ্চর মাইকেল কলিন্স পরলোকগমন করেছেন। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন লড়াইয়ের পর বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
প্রায় ৫২ বছর আগে প্রথম চন্দ্রাভিযানের তিন সদস্যের মধ্যে একজন ছিলেন মাইকেল কলিন্স। তবে, তিনি চাঁদের মাটি স্পর্শ করেননি। কম্যান্ড মডিউল পাইলট হিসেবে চাঁদের কক্ষপথেই ছিলেন তিনি। পরিকল্পনামাফিক কলম্বিয়া মডিউলের ভিতরেই ছিলেন তিনি। তার সহ-অভিযাত্রী নীল আর্মস্ট্রং ও এডুইন অলড্রিন এই অভিযানে চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করেন।
চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণকালে হঠাৎই তার সহ-অভিযাত্রী এমনকী নাসার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেন তিনি। যদিও নির্দিষ্ট সময়েই আবার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। নির্বিঘ্নে পৃথিবীতে ফিরে আসেন তারা।
চন্দ্রাভিযানের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সদস্য ছিলেন কলিন্স। মোট দু’বার চেষ্টার পর নাসায় নভোশ্চর হিসাবে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। দক্ষ পাইলট হিসেবে তিনি বিমান বাহিনীতে পরিচিত ছিলেন।
তবে, চন্দ্রাভিযানের সাফল্যে তিনি কোনো দিনই তার দক্ষতাকে গুরুত্ব দেননি। ২০০৯ সালে দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাত্কারে কলিন্স বলেছিলেন, ‘আমি ও আমার দুই সহ-অভিযাত্রীরা সকলেই কঠিন পেশা বেছে নিয়েছিলাম। আর তাতে সফলও হয়েছি। তবে আমার ক্ষেত্রে অন্তত বলতে পারি যে মাত্র ১০ ভাগ পরিকল্পনামাফিক করেছি। বাকি ৯০ ভাগ পুরোটাই ভাগ্য। আমার কবরে যেন ‘লাকি’ শব্দটা খোদাই করা থাকে!’
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস