তাইওয়ান (Taiwan) ইস্যুতে ফের আমেরিকার (US) বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত চিন (China)। পুরোপুরি হুমকির সুরে ওয়াশিংটনকে শাসিয়ে বেজিং জানিয়ে দিল, তারা যেন আগুন নিয়ে না খেলে। কয়েক দিন আগেই তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে বিডেন প্রশাসন। আর তাতেই চটেছে চিন।
বরাবরই ফিলিপিন্স ও তাইওয়ানের বিরুদ্ধে বেজিংয়ের আগ্রাসনের অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। এবার নয়া নির্দেশিকায় দ্বীপরাষ্ট্রটির কূটনীতিবিদ ও আমলাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলোচনার দ্বার আরও প্রশস্ত করেছে ওয়াশিংটন। গত শুক্রবার মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়ে দেন, “তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আমরা নতুন নির্দেশিকা জারি করেছি। এর ফলে সে দেশের কূটনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা আরও চওড়া হবে। যদিও সরকারিভাবে দুই দেশের সম্পর্ক স্বীকৃত নয়। এই নয়া পদক্ষেপের ফলে আমাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।” আর ওয়াশিংটনের এহেন মনোভাবেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে চিনের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান কার্যত হুমকি দিয়ে সাবধান করে দিতে চেয়েছেন হোয়াইট হাউসকে। তাঁর কথায়, ”তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে খেলবেন না। এই মুহূর্তে আমেরিকা-তাইওয়ান সংক্রান্ত যে কোনও বিষয় থেকে অবিলম্বে সরে আসুন।”
এদিকে সোমবারই তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক অভিযোগ জানায়, সেদিন অন্তত ২৫টি চিনা যুদ্ধবিমান তাদের দেশের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে। সেগুলির মধ্যে পারমাণবিক বোমারু বিমানও ছিল! ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এভাবে তাইওয়ানের উপরে চাপ আরও বাড়াতে চাইছে চিন।
আগামী বছর ছয়েকের মধ্যেই তাইওয়ান দখল করতে হামলা চালাবে চিন। এমনটাই দাবি শীর্ষ মার্কিন সেনাকর্তাদের। এবিষয়ে বহুবারই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। এই বিষয়ে বারবার আমেরিকার বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে চিন। এই পরিস্থিতিতে নির্দেশিকা জারি করতে না করতেই বিডেন প্রশাসনকে ফের আক্রমণ করল বেজিং।