সৌদি আরবে আজানের শব্দ নিয়ন্ত্রণের ব্যাখ্যা দিয়েছেন দেশটির ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী। সিদ্ধান্তটি অতিরিক্ত শব্দ নিয়ে অভিযোগের কারণে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সব মসজিদের লাউডস্পিকারের আওয়াজ সর্বোচ্চ সীমার এক তৃতীয়াংশে সীমিত রাখতে হবে- গত সপ্তাহে সৌদি আরবের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেওয়ােএ ঘোষণার কারণে দেশজুড়ে নেতিবাচক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর ব্যাখ্যায় সৌদির ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল শেখ জানান, অতিরিক্ত শব্দে শিশু এবং বয়স্কদের সমস্যা হচ্ছে বলে সাধারণ জনগণ অভিযোগ করে। যে কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আব্দুল লতিফ আল শেখ বলেন, ‘যারা নামাজ পড়তে চান তাদের ইমামের ডাকের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। তারা আগেভাগেই মসজিদে হাজির হয়ে যান।’ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল আজান এবং কুরআন তেলাওয়াত সম্প্রচার করে জানিয়ে তিনি বলেন, মাইক খুব সামান্য মানুষের কাজে আসে।
বিষয়টি নিয়ে অনেকেই প্রতিবাদ করেন। হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেতে উচ্চ শব্দে মিউজিক বাজানো নিষিদ্ধ করা দাবি উঠতে শুরু করে। আজানের শব্দ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে যারা অনলাইনে সমালোচনা করেছেন তাদের ‘দেশের শত্রু’ অভিহিত করে এরা ‘জনমতকে উস্কাতে চায়’ বলে অভিযোগ করেন সৌদি আরবের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী।
গত সপ্তাহে এক ঘোষণায় বলা হয়, সব মসজিদের মাইকের আওয়াজ সর্বোচ্চ সীমার এক তৃতীয়াংশে সীমিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে আরও বলা হয়, পূর্ণ খুতবার বদলে কেবলমাত্র আজান ও ইকামতের জন্যই মাইক ব্যবহার করতে হবে।