আফগানিস্তানের সরকারি প্রশাসন ও সেবাখাতের মাঝারি ও নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত দু’মাস কোনো বেতন-ভাতা পাননি।
দেশটির ৩৪ টি প্রদেশের ২৮ টির দখল নেওয়ার পর গত ১৫ আগস্ট কাবুলের দখল নেয় তালেবান বাহিনী। কাবুলে তালেবান প্রবেশের দিনই ১৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার সঙ্গে নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।
কাবুল দখলের পর থেকে নতুন সরকার গঠনে তোড়জোড় শুরু করা তালেবান নেতারা সম্প্রতি সরকারের বিভিন্ন দফতরের খাতাপত্র, তথ্য ও রেকর্ড ঘাঁটা শুরু করেছেন। সেসব থেকেই এ তথ্য জানা গেছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন এক তালেবান নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তালেবান নেতা বলেন, ‘আমরা এখনও জানি না, কীভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে, তবে এখন এটি আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জসমূহের একটি।’
আফগান প্রশাসনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা। ১৯৯৬ সালে তালেবান বাহিনী যখন প্রথমবার আফগানিস্তান দখল করে, সে সময়, অর্থাৎ তৎকালীন সরকারের আমলেও এ রকম অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছিল।
সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির সবচেয়ে মারাত্মক ফলাফল দেখা গেছে গত আড়াই মাসে, যখন অনেক এলাকায় আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তালেবান বাহিনীর কাছে বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেনাসদস্যদেরও নিয়মিত বেতন-ভাতা দিত না আশরাফ গনির প্রশাসন।
তবে তালেবান বাহিনীর সরকার গঠনের প্রক্রিয়া অবশ্য থেমে নেই। সম্ভাব্য নতুন সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গ দেখা করেছেন তালেবান নেতারা।