ছবি: এএফপির
আফগানিস্তানের বিচার ব্যবস্থায় পূর্ণ শরিয়া আইন জারির নির্দেশ দিয়েছেন তালেবানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। জানা যায়, দেশটিতে শরিয়া আইন অনুযায়ী বিচার হচ্ছে। ২০০১ সালে তালেবান ক্ষমতা থেকে উৎখাত হবার পর আফগানিস্তানে নতুন বিচার ব্যবস্থা গঠনে কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে।
যা ছিল ইসলামি ও ধর্মনিরপেক্ষ আইনের মিশেল। যাতে থাকতে যোগ্য কৌঁসুলী এবং বাদীর আইনজীবী ও বিচারক। খবর-এএফপির
বিচার ব্যবস্থায় অনেক নারীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তারা কট্টরপন্থী তালেবান জঙ্গিদের অনেক মামলা পরিচালনা করেছেন এই নারীরা। পারিবারিক আদালতে অনেক বেশি লিঙ্গ সমতা এসেছিল।
কিন্তু গত বছর ক্ষমতা নেওয়ার পর তালেবান এই পুরো ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে। এখন রায় ও শাস্তি কার্যকরের দায়িত্ব পালন করছেন সব পুরুষ মাওলানা।
গণমাধ্যমকর্মীরা আফগানিস্তানের গাজনি প্রদেশের একটি শরিয়া আদালতের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ পান। তারা যখন গাজনির সেই আদালতে যান তখন হত্যার দায়ে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের বিচার চলছিল। নভেম্বরে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এখন তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
আদলতের ভেতরের চিত্রটা ছিল এরকম- মাথায় টারবাইন (পাগড়ি) পরিহিত মোহাম্মদ মুবিন নামে এক তরুণ বিচারক ছোট একটি ঘরে (আদালত) মাটিতে বসে আছেন। বিচারকের সামনে দণ্ডপ্রাপ্ত বৃদ্ধকে হাজির করা হয়েছে। বৃদ্ধ তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসেছেন। মাঝে তাদের মধ্যে কিছু কথোপকথন হয়।
এদিকে গজনি আদালতের প্রধান উমারির দাবি, আগের সরকারের বিচার প্রক্রিয়ার চেয়ে শরিয়াহ আইন অনেক ভালো। যদিও স্বীকার করছেন কর্মকর্তাদের আরও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন রয়েছে।
এমকে