Image default
আন্তর্জাতিক

আফগান নাগরিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিল তালেবান

যেসব আফগান নাগরিক বিদেশি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে তারা যদি অনুশোচনা প্রকাশ করে তবে তারা নিরাপদেই থাকতে পারবে বলে জানিয়েছে তালেবান। একই সঙ্গে এসব লোকজনের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটি ছেড়ে যাওয়া উচিত নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার এক বিবৃতিতে তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘তারা আমাদের কারণে কোনো বিপদে পড়বে না। কারোরই দেশ ছেড়ে যাওয়া উচিত নয়।’

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসলামিক এমিরেট প্রত্যেককে জানাতে চায় যে, অতীতের কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের অনুতপ্ত হতে হবে এবং ভবিষ্যতে ইসলাম এবং দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক কোনো কাজে জড়ানো যাবে না।

তালেবানের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি এমন সময় প্রকাশ হলো যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এক ঘোষণায় জানিয়েছে, আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা তাদের সৈন্যদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেবে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের এই প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ১ মে থেকে। তবে ওইদিন শুধু মার্কিন বাহিনীই নয়, আফগানিস্তান থেকে বিদায় নিতে শুরু করবে ন্যাটো সেনারাও।

কিছুদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেন যে, এ বছর নাইন ইলেভেনের হামলার ২০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে আফগানিস্তান থেকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। এর মাধ্যমে দেশটিতে বিশ বছর ধরে থাকা মার্কিন সেনা উপস্থিতির অবসান হতে যাচ্ছে।

গত ২০ বছর ধরে হাজার হাজার আফগান নাগরিক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোর্সের সঙ্গে কাজ করছে। তালেবানের আশঙ্কা দেশ থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর হয়তো বিশেষ ভিসায় অনেক আফগান নাগরিকই দেশ ত্যাগ করবেন।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ব্রিটেনসহ বেশ কিছু দেশ তাদের স্থানীয় কর্মীদের দেশে নেয়ার পরিকল্পনা করছে। কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে প্রায় ১৮ হাজার আফগান নাগরিক ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। এছাড়া বিদেশি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছেন এমন হাজার হাজার নাগরিক যে দেশের হয়ে কাজ করেছেন ইতোমধ্যেই সেসব দেশে চলে গেছেন।

সম্প্রতি কাবুলে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অন্যান্য বিদেশি দূতাবাসকে শান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান। তারা বলছে, বিদেশি সেনারা দেশ ছাড়লেও তারা বিভিন্ন দূতাবাস কর্মীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশে কাজের সুযোগ করে দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করা স্থানীয় কর্মী এবং তাদের পরিবারের প্রায় ৩শ মানুষ নিহত হয়েছে।

Related posts

ইউক্রেনের খেরসনে রুশপন্থী শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত

News Desk

ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান বেলারুশের

News Desk

করোনা মোকাবিলায় ফাউসির তিন পরামর্শ

News Desk

Leave a Comment