Image default
আন্তর্জাতিক

আফ্রিকার তিনটি দেশ সফরে এরদোগান

আফ্রিকার তিনটি দেশ সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈইয়েব এরদোগান। আশা করা হচ্ছে এ সফরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি ওই অঞ্চলে তুরস্কের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ সম্প্রসারণ হবে।

এরদোগানের চার দিনের এ সফরে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার তিনটি দেশ কঙ্গো, সেনেগাল এবং গিনি-বিসাউ এ যাবেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

এক প্রতিবেদনে ওই এজেন্সি বলেছে— ‘কৌশলগত আফ্রিকা’ নীতি গ্রহণের পর এই মহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক নতুন গতি পেয়েছে। গত এক বছরে তুরস্কের কোম্পানিগুলো আফ্রিকাজুড়ে এক হাজার ১৫০ প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। যার মোট মূল্য ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আফ্রিকাজুড়ে তুরস্কের বিনিয়োগের মূল্য ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

সফরের সময় এরদোগান ওই সব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি সহযোগিতা ও উন্নত সুযোগ সুবিধার বিষয়ে আলোকপাত করা হবে।

২০২১ সালে সাব-সাহারান আফ্রিকা এলাকায় তুরস্কের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২৪দশমিক আট শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড স্পর্শ করেছে।

একই সময়ে আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোতে তুরস্কের রফতানি ৩১ শতাংশ বেড়ে সাত দশমিক ৯ মার্কিন ডলার হয়েছে। যেখানে আমদানি ১০ শতাংশ বেড়ে দুই দশমিক ৮ বিলিয়ন হয়েছে।

ফরেন ইকোনমিক রিলেশনস বোর্ড (ডিইআইকে) তুরস্ক-ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো বিজনেস কাউন্সিলের প্রধান ইউসুফ সেঙ্ক ডাগসুয়ু আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, দেশের বাজারে সুবিধাগুলো এতদিন ব্যবহার করা যায়নি তা ‘উইন-উউন’ নীতির মাধ্যমে অগ্রগতি হবে। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছাবে।

ডাগসুয়ু বলেন, গত পাঁচ বছরে ডিআর কঙ্গোতে তুর্কি রফতানি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ময়দা ও ময়দাজাত পণ্য, মাংস ও মাংসজাত পণ্য এবং যন্ত্রপাতি বিক্রি অনেক বেড়েছে।

তিনি বলেন, বিশেষ করে খনি ও জ্বালানি খাতে নতুন উন্নয়ন ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২২ সালে আমরা রফতানির পরিমাণ ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়ানোর লক্ষ্য স্থির করেছি।

Related posts

শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দেখা করছেন পুতিন

News Desk

শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি, পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে কারফিউ

News Desk

তৃতীয় বিয়ে করবেন বরিস জনসন

News Desk

Leave a Comment