ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে শনিবার নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভের জ্বালানি সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, বেশ কয়েকটি স্থানে কর্মকর্তারা বিদ্যুত্ বিভ্রাটের কথা জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউক্রেনারগো জানায়, শনিবারের গোলাবর্ষণে ক্ষতির মাত্রা গত ১০ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত চলা হামলার ক্ষয়ক্ষতির সমান বা তারচেয়েও বেশি হতে পারে।
গত ১০ অক্টোবর কিয়েভসহ ইউক্রেনজুড়ে ৮০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী।
সম্ভাব্য অন্তর্ঘাতে ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে ওই হামলা করা হয় বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনারগো আরো জানায়, কিয়েভ এবং এর আশেপাশের এলাকাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জ্বালানি বিধিনিষেধ ‘জোরপূর্বক প্রয়োগ করা হয়েছে’।
ইউক্রেনের কিছু অংশ জ্বালানির ব্যবহার ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছে। কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের বিদ্যুত্ সাশ্রয়ের আহ্বান জানিয়েছে। ইউক্রেনারগোর বিশেষজ্ঞরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যুত্ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
পশ্চিম ইউক্রেনের গভর্নর জানান, ভলিন অঞ্চলের কিছু অংশে বিদ্যুত্ ও পানি সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। খমেলনিতস্কি শহরটিও বিদ্যুিবহীন ছিল। খমেলনিতস্কির পৌর পরিষদ শহরবাসীকে পানির ঘাটতির জন্য তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
পশ্চিমের আরো এক অঞ্চল রিভনের গভর্নর ভিতালি কোভাল বলেন, রুশ হামলায় বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম ওডেসা অঞ্চলেও বিদ্যুত্ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। এ অঞ্চলের গভর্নর ম্যাক্সিম মারচেনকো বলেন, ওডেসায় জ্বালানি অবকাঠামোতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। সূত্র: এএফপি।