১০ দেশ থেকে আমিরাতে প্রবেশের স্থগিতাদেশ ৭ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দেশটির বিমান সংস্থা আল ইত্তিহাদ এয়ারলাইন্স সোমবার জানিয়েছে, বাংলাদেশসহ ৭টি দেশের যাত্রীদের আমিরাতে প্রবেশের টিকিটের বুকিং আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। এর আগে গত মে মাসের ১২ তারিখ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াই বাংলাদেশে, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৫টি এবং আফ্রিকার ৫টি দেশ থেকে আমিরাতে যাত্রী প্রবেশের উপর স্থগিতাদেশ রয়েছে।
যেসব যাত্রী বিগত ১৪ দিনে এসব দেশ ভ্রমণ করেছে তারাও আমিরাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে আমিরাত থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলবে। আমিরাতের নাগরিক, কূটনীতিক, দেশটির গোল্ডেন ভিসাধারিরা আমিরাতে প্রবেশ করতে পারবে। বর্তমানে যে সকল দেশের থেকে আমিরাতে ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভিয়েতনাম, কংগো, জাম্বিয়া, উগান্ডা।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৬ হাজার ৮৩৪ জন। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৭ হাজার ২৫২ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত মোট ১৭ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৪৬৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৮ লাখ ২৭ হাজার ৪৩৭ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ কোটি ১২ লাখ ১ হাজার ৯১২ জন।
বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র এখনো সবার ওপরে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৪৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৯ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ১৫ হাজার ২৩২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৮৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৮১ জন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন তিন লাখ ৭৭ হাজার ৬১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৮২ লাখ ৭২ হাজার ৭৮০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।