অবশেষে আবু ধাবির সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অংশ হিসেবে দু’দেশের মধ্যে ফের বিমান যোগাযোগ চালু হলো। এক দশকেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিরিয়ার বিমান চলাচল শুরু হয়।
গতকাল মঙ্গলবার আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে সিরিয়ার চ্যাম উইংস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ১৫১ জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন এবং সিরিয়ার লাটাকিয়া বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী বিমানটির সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি ওই বিমানবন্দরের রানওয়েতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের হামলার কারণে এটি ব্যবহার অনুপযোগী থাকায় বিমানটিকে লাটাকিয়া নিয় যাওয়া হয়।
২০১১ সালে সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সহিংসতা চাপিয়ে দেয়াার পর ওই বছরই আরব লীগ সিরিয়ার সদস্যপদ বাতিল করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরব লীগের দেশগুলো দামেস্কে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নেয়। তবে সিরিয়া সরকার সন্ত্রাসীদের দমনে সাফল্য পাওয়ার পর ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত দামেস্কে নিজের দূতাবাস আবার চালু করে। গত মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট আসাদ আবুধাবি সফরে গেলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরো উন্নতি হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে আরো কয়েকটি আরব দেশ সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।